ঢাকা: মঙ্গলবার, বাংলদেশের কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের হিমছড়ি সৈকতের কাছে সমুদ্রের জলে একটি বিশালাকৃতির মৃত তিমি মাছ ভাসতে দেখা গিয়েছে। দুপুর থেকেই তিমিটির শরীরে দড়ি বেঁধে সেটিকে পারে তুলে আনার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু, প্রাণীটির বিশালাকৃতির জন্যই তা সম্ভব হয়নি। বিকেলে ভাটার টানে তিমিটি আরও গভীর সমুদ্রে ভেসে যায়। বুধবার সকালে সেটিকে পারে তুলে এনে উপরকূলের কোনও এক স্থানে বালিতে পুঁতে ফেলা হবে বলে ঠিক করেছে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ। মনে করা হচ্ছে, হয় প্রাকৃতিক দুর্যোগে অথবা জাহাজের ধাক্কায় তিমিটির মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবারই ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি দীপক শর্মা। প্রথম আলোর প্রতিবেদনে তাঁকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার দুপুর ১২টা নাগাদ স্থানীয় এক মৎস্যজীবী হিমছড়ি সৈকত থেকে সমুদ্রে প্রায় দুই কিলোমিটার গভীরে ওই বিশালাকৃতির মৃত তিমি মাছটির দেহ ভাসতে দেখেছিলেন। তিনিই প্রশাসনকে খবর দেন। জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে দুপুর ১২টা থেকে তিমিটির দেহ পারে তোলার প্রচেষ্টা শুরু হয়। বেশ কয়েকটি স্পিডবোট নিয়ে তিমিটির দেহের কাছে গিয়ে দড়ি দিয়ে বেঁধে তাকে পারে তোলার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তিমিটিকে ঘটনাস্থল থেকে নড়ানো পর্যন্ত যায়নি। এই অবস্থায় তিমিটির দেহ পাহারায় রেখে, এদিনের মতো উদ্ধারকাজ বন্ধ রাখা হয়। বুধবার ভোরের জোয়ারের জলে তিমিটির দেহ ফের উপকূলের কাছে চলে আসতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
Giant dead whale found on Bangladesh beach Anadolu Agency pic.twitter.com/6SLYUrMIiN
— Potrika24 (@potrika24) April 9, 2021
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, সম্ভবত বেশ কয়েকদিন আগেই তিমিটির মৃত্যু হয়েছে। কারণ তার শরীরের বিভিন্ন অংশে পচন ধরেছে। মাছটি ঠিক কত বড়, তা জলে ভাস,মান অবস্থায় পরিমাপ করা যায়নি। মনে করা হচ্ছে, বর্তমানে যে তীব্র গরম চলছে, তাতে সমুদ্রের জলে নুনের পরিমাণ বাড়ছে। তার প্রভাবে তিমিটির মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। এছাড়া এপ্রিল মাসে বঙ্গোপসাগরে দুটি নিম্নচাপ ও একটি ঘূর্ণিঝড়ও হয়েছে। জাহাজের প্রপেলারের আঘাতেও তিমিটির মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। পাশাপাশি, প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী, তিমিটির গায়ে মাছ ধরার জাল জড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। জালে আটকে গিয়েও মৃত্যু হতে পারে তার, বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাঁরা জানিয়েছেন, এই প্রথম বাংলাদেশের উপকূলের কাছে তিমির দেহ ভেশে এল, তা নয়। এর আগে ২০২১ সালের এপ্রিলেও দরিয়ানগর ও হিমছড়ি সৈকতে দুটি বড় আকারের মৃত তিমির দেহ ভেসে এসেছিল।