বাংলাদেশ : রাজধানীসহ বাংলাদেশের একাধিক এলাকায় তাপমাত্রা ক্রমশ কমতে শুরু করেছে। কিন্তু পারদ নীচে নামলেও অনুভূতি বদলায়নি। বিশেষত ঢাকা ও রাজশাহীতে মরুভূমির মতো আবহাওয়া অনুভূত হচ্ছে। গরমে কার্যত বিধ্বস্ত হয়ে যাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। রবিবার সকাল থেকে তাপমাত্রা ৩৪ ডিগ্রির আশেপাশে থাকলেও মানুষের কাছে অনুভূতি ছিল ৪০ ডিগ্রির মতো। বাংলাদেশের আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, রাজশাহীর তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলেও স্থানীয়দের অনুভূতি ছিল ৪৩ ডিগ্রির মতো। নাসা বলছে, মরুভূমিতে দিনের গড় তাপমাত্রা সাধারণত ৩৬ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকে। তাই এ দিনের তাপমাত্রা মরুভূমিকেও হার মানাচ্ছে।
ঢাকা, রাজশাহীসহ বিভিন্ন এলাকায় রাতের তাপমাত্রা ২৬ থেকে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। মাঝেমধ্যে আকাশে মেঘও দেখা যাচ্ছে। আবহাওয়া দফতরের তরফে আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, চলতি মাসের বেশির ভাগ সময়ই রাজধানীসহ দেশের একাধিক জায়গায় তাপমাত্রা একই রকম থাকতে পারে। কালবৈশাখী ও বৃষ্টিও হতে পারে। অল্প সময়ের জন্য তাপমাত্রা কমলেও দিনের বাকি সময় গরমই থাকবে।
রাজশাহী, যশোর ও পাবনায় তাপমাত্রা থাকছে গড়ে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি। রংপুর ও সিলেট বিভাগের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টি হওয়ায় সেখানে গরমের অনুভূতি কিছুটা কম হচ্ছে। বাকি জায়গায় তাপমাত্রার প্রকোপ বেশি।
সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২১ সালে দেশের ৫টি শহরের গ্রাম ও শহর এলাকার তাপমাত্রার পার্থক্য কেমন, তা নিয়ে একটি গবেষণা করা হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, ঢাকার পার্শ্ববর্তী গ্রামের সঙ্গে ঢাকার মূল শহরের তাপমাত্রার পার্থক্য প্রায় সাড়ে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ শহরের তাপমাত্রা আগের থেকে অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। অন্য এলাকার চেয়ে সাড়ে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। মূলত কংক্রিটের জন্যই এ ভাবে তাপমাত্রা বাড়ছে বলে জানা গিয়েছে। দিনের সঙ্গে রাতের তাপমাত্রার পার্থক্যও কমে আসছে। যে কারণে গরমের অনুভূতি আরও বাড়ছে।