ঢাকা: বাংলাদেশের স্বাধীনতায় ভারতের ভূমিকা অনস্বীকার্য। পাকিস্তানের (Pakistan) বিরুদ্ধে স্বাধীনতার জন্য লড়ছিল বাংলাদেশ (Bangladesh)। মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় সেনা অংশ নেওয়াই জয়ে শেষ পেরেকটা গেঁথে দিয়েছিল। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান (Sheikh Mujibar Rahman) বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে ঘোষণা করেন। পশ্চিম পাকিস্তান থেকে আলাদা হয়ে তৈরি হয় বাংলাদেশ। তবে আজকের দিন অর্থাৎ ৬ ডিসেম্বর দিনটিও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশের কাছে। কেন জানেন? এই দিনেই বাংলাদেশকে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দেয় ভারত (India)।
ইতিহাসের পাতা উলটিয়ে ১৯৭১ সালে পৌঁছলে, এ দিনই ভারতের সংসদে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী বাংলাদেশকে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসাবে ঘোষণা করেন। পরে বাংলাদেশ সরকারের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদকেও চিঠি দিয়ে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। বাংলাদেশের স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে ভারতের স্বীকৃতি অত্য়ন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর সংসদে ইন্দিরা গান্ধী ঘোষণা করেন, “বহু বাধা পার করে বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীনতা আন্দোলনে ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায় তৈরি করেছে। দীর্ঘ বিচার-বিবেচনার পর ভারত বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”
ওই ভাষণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের কথাও উল্লেখ করেন ইন্দিরা গান্ধী।
প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের মধ্য় রাতে বাংলাদেশকে স্বাধীন ঘোষণা করার পরই মুজিবর রহমানকে গ্রেফতার করে পাকিস্তান সেনা। বাংলাদেশে শুরু হয় সামরিক অভ্যুত্থান। শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। পরে ডিসেম্বর মাসে ভারতের তরফে বাংলাদেশকে যুদ্ধে সাহায্যের কথা ঘোষণা করা হয়। বায়ুসেনাও অংশ নেয় মুক্তিযুদ্ধে। শেষ অবধি মাথা নত করতে বাধ্য হয় পাকিস্তান সেনা।