Bangladesh-Russia Relation: রাশিয়া কি এবার বাংলাদেশের মুখাপেক্ষী? হাসিনা সরকারের দাবিতে জোরাল জল্পনা

TV9 Bangla Digital | Edited By: অরিজিৎ দে

May 23, 2022 | 6:31 PM

Bangladesh News: গত নভেম্বরে বাংলাদেশ সরকার ডিজেল ও কেরোসিনের দাম প্রতি লিটারে ১৫ টাকা দাম বাড়িয়েছিল। এই দুই জ্বালানির দাম এখন লিটার প্রতি ৮০ টাকা এবং ৬৫ টাকা হয়েছে।

Bangladesh-Russia Relation: রাশিয়া কি এবার বাংলাদেশের মুখাপেক্ষী? হাসিনা সরকারের দাবিতে জোরাল জল্পনা
ছবি: সংবাদ সংস্থা

Follow Us

ঢাকা: ইউক্রেনে (Ukraine) আক্রমণের পর থেকে আন্তর্জাতিক মহলে রাশিয়াকে (Russia) ক্রমশ একঘরে করে দেওয়ার চেষ্টা জারি রেখেছে আমেরিকা, ব্রিটেন সহ পশ্চিমের দেশগুলি। রাশিয়ান মুদ্রা রুবেলে লেনদেন বন্ধের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক লেনদেনের ক্ষেত্র প্রয়োজনীয় সুইফ্ট বাতিল করে দেওয়া হয়েছিল সরকার। অনেকেই দাবি করেছিলেন রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (Vladimir Putin) দেশ আর্থিক সমস্যায় ভুগছে, সেই কারণে তৃতীয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে কমদামে তেল বিক্রির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। ভারতকেও মস্কোর তরফে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল এবং মোদী সরকার তা গ্রহণও করেছে। রাশিয়ার তরফে বাংলাদেশের কাছে একই প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। সোমবার এই কথাই জানিয়েছেন বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নজরুল হামিদ। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্যাবিনেটের এই সদস্য জানিয়েছেন, রাশিয়ার থেকে তেল কেনার ব্যাপারে পর্যালোচনা করছে বাংলাদেশ সরকার। আজ বিদ্যুৎ ভবনে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এই কথা জানিয়েছেন, বাংলাদেশের এই মন্ত্রী।

গত নভেম্বরে বাংলাদেশ সরকার ডিজেল ও কেরোসিনের দাম প্রতি লিটারে ১৫ টাকা দাম বাড়িয়েছিল। এই দুই জ্বালানির দাম এখন লিটার প্রতি ৮০ টাকা এবং ৬৫ টাকা হয়েছে। দাম বাড়ানোর কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে গোটা বিশ্বে মূল্যবৃদ্ধির কথা উল্লেখ করেছিল সরকার। বাংলাদেশের এই মন্ত্রক জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক স্তরে মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব প্রতিবেশি দেশগুলিতেও পড়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম আরও বেড়েছিল। ভারতও আন্তর্জাতিক চাপ উপেক্ষা করে রাশিয়ার থেকে তেল কেনা শুরু করেছে। ভারতের এই নীতির প্রশংসা করেছিলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের এই অবস্থান থেকে বাংলাদেশেও খানিক সাহস জোগাড় করতে পেরেছে। সেখান থেকে রাশিয়ার থেকে তেল কেনার প্রস্তাব খারিজ না করে দিয়ে পর্যালোচনা করছে বাংলাদেশ সরকার। বাংলাদেশের মতো ছোট ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে কম গুরুত্বপূর্ণ দেশ আগামী দিনে রাশিয়ার থেকে তেল কেনে কি না, সেটাই এখন দেখার।

Next Article