ঠাকুরগাঁও: প্রতিনিয়ত সামাজিক অবক্ষয় হয়েই চলেছে। যৌন লালসা (Sexual Desire) মানুষকে কোন পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে, তার ভূরি ভূরি উদাহরণ রয়েছে। মাঝেমাঝেই এমন নির্মম ধর্ষণের ঘটনা সামনে আসে যা শুনে অবাক হয়ে যেতে হয়। বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁওতে এমন এক ঘটনা ঘটেছে, ঘটনার নৃশংসতায় অনেকেই অবাক হয়ে গিয়েছেন। ঠাকুরগাঁও উপজেলার অষ্টম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ৬ জনের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, ওই স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের মুহূর্ত মোবাইল ক্যামেরায় রেকর্ড করার অভিযোগও উঠেছে ওই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে। শনিবার ওই ছাত্রীর বাবা সদর থানায় ৬ জনের নামে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এই ঘটনায় রবিরার ইতিমধ্যেই ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ঠাকুরগাঁওয়ের ফুটানিবাজার এলাকা থেকে মহম্মদ দুলাল এবং সাদু নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই স্কুল ছাত্রী যখন প্রতিদিন স্কুলে যেত তখন তাঁকে নানাভাবে উত্ত্য়ক্ত করত দুলাল নামের ওই ব্যক্তি। ১৬ মে স্কুল ওই নাবালিক যখন স্কুল থেকে ফিরছিল, সেই সময় তাকে তুলে নিয়ে যায় ওই অভিযুক্তরা। জোর করে ওই ছাত্রীকে অটোরিক্সায় তুলে অপহরণ করা হয়। সেখান থেকে তাকে একটি অফিসরুমে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানেই ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে প্রধান অভিযুক্ত দুলাল। এমনকী গোপনে ধর্ষণের ভিডিয়োও মোবাইলে রেকর্ড করে রেখেছিল সে। বাকি অভিযুক্তরা ওই নাবালিকাকে হুমকি দেয় যে কাউকে এই ঘটনার বিষয়ে কিছু জানালে ওই ভিডিয়ো ভাইরাল করে দেওয়া হবে। প্রাথমিকভাবে মারাত্মক ভয় পেয়ে গিয়েছিল ওই নাবালিকা। পরে বাড়ি ফিরতেই পরিবারের সবাইকে ঘটনার কথা জানায় সে। মেয়ের কাছে ঘটনার বিবরণ শুনে থানায় অভিযোগের সিদ্ধান্ত নেন মেয়ের বাবা। থানার ওসি তানভিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, “এই ঘটনা ২ জনকে গ্রেফতার করে আদালতে তোলা হয়েছিল। আদালত তাদের জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে।”