ঢাকা: বাংলাদেশের (Bangladesh) বান্দরবানে এক মর্মান্তিক খুনের (Murder Case) ঘটনা ঘটেছে। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে হওয়া এই খুনের ঘটনায় এক নাবালককে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে মাদ্রাসার অশিক্ষক কর্মী এক ব্যক্তিকে খুনের ঘটনায় সইদুল আমিন নামের ১৭ বছর বয়সী এক ছাত্রকে গ্রেফতার করেথে পুলিশ। বুধবার রাতে নাইক্ষ্যংছড়ির আমতলী মাঠ এলাকা থেকে ১৭ বছর বয়সী ওই নাবালককে গ্রেফতার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার বান্দরবানের পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের একথা জানিয়েছেন।
পুলিশের মুখে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা শুনে অনেকের চোখ কপালে উঠে গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, জেরার মুখে ওই সইদুল আমিন নামের ওই নাবালক হত্যার দায় স্বীকার করে নিয়েছে। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই নাবালককে একটি মেয়ের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলেছিলেন দিদার আলম নামে মাদ্রাসার ওই অশিক্ষক কর্মী। প্রাথমিকভাবে ভয় পেয়ে যায় অভিযুক্ত নাবালক। অশিক্ষক কর্মীকে বিষয়টি বাইরে কাউকে না জানানোর জন্য আবেদন করে। দিদার সেই দাবি মানতে রাজি না হওয়ায় দু’জনের মধ্য বাকবিতণ্ডা শুরু হয়।
পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, বাকবিতণ্ডা চরম পর্যায়ে পৌঁছতে ওই ব্যক্তিকে হত্যা করে সইদুল। পুলিশ জানিয়েছে, নাইক্ষ্যংছড়ির মহিউচ্ছুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসার অশিক্ষক কর্মী হিসেবে কাজ করতে দিদার আলম নামের ওই ব্যক্তি। মঙ্গলবার, প্রতিদিনের মতো চাকঢালা আমতলী বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। ফেরার পথেই সইদুলের সঙ্গে তাঁর বাকবিতণ্ডা হয়। রাত ৮টার দিকে চাকঢালার ফজুরছড়া এলাকায় তাকে কুপিয়ে হত্যা করে অভিযুক্ত নাবালক।
খুনের ঘটনা জানাজানি হতে মৃতের বাবা স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করে। মামলার তদন্তে নেমে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্ত নাবালককে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারির সময় খুনে ব্যবহৃত অস্ত্রও উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ সুপার জানিয়েছে, ধৃতকে দ্রুত আদালতে পেশ করা হবে। এই ঘটনায় খুন ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের মামলা রুজু করা হয়েছে।