নয়া দিল্লি: বাংলাদেশের নব নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মহম্মদ শাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে আন্তরিক অভিনন্দন জানালেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন চুপ্পু। রবিবার (৫ মার্চ) তাঁকে অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, “ভারত সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে আমি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার জন্য আপনাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী হিসাবে আপনার অবদান এবং একজন আইনজ্ঞ হিসাবে অভিজ্ঞতা এই উচ্চ পদে বাড়তি মূল্য যোগ করেছে।”
প্রধানমন্ত্রী মোদী আরও বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি অনন্য দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের ত্যাগের মধ্যে নিহিত এই সম্পর্ক। দুই দেশের প্রাণবন্ত সংস্কৃতি এবং মানুষে মানুষে সম্পর্ক, এই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে লালন করেছে। তাঁর পাঠানো বার্তায় ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে, আমরা আমাদের উভয় দেশের জনগণের স্বার্থে এই বহুমুখী অংশীদারিত্বকে আরও গভীর করার প্রতিশ্রুতিতে অটল রয়েছি। আমি আত্মবিশ্বাসী যে আপনার দূরদর্শী নেতৃত্ব আমাদের সম্পৃক্ততার শক্তি বৃদ্ধি করবে।” নির্বাচিত রাষ্ট্রপতির সুস্বাস্থ্য এবং সাফল্যও কামনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
আগামী ২৩ এপ্রিল মেয়াদ শেষ হচ্ছে বাংলাদেশের বর্তমান রাষ্ট্রপতি মহম্মদ আবদুল হামিদের। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হবেন জেলা ও দায়রা আদালতের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। একসময় তিনি বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার পদেও ছিলেন। রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হওয়ার আগে পর্যন্ত তিনি আওয়ামি লিগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ছিলেন। ছাত্রজীবনে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে প্রত্যক্ষভাবে অংশ নিয়েছিলেন সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। ছাত্রজীবনে পাবনা জেলা স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক এবং পাবনা জেলা ছাত্রলিগ এবং যুবলিগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ৩ বছর কারাগারে বন্দিও থাকতে হয়েছিল তাঁকে।
১৯৮২ সালে তিনি বিসিএস (বিচার) ক্যাডার হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। পরের ২৫ বছর তিনি বিচার বিভাগে বিভিন্ন পদে কর্মরত ছিলেন। বিচারক হিসেবে তিনি বহু গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানিতে অংশ নিয়েছিলেন। ২০০৬ সালে জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক হিসেবে অবসর নেন তিনি। বিএনপি-জামাত জোট সরকারের বিরুদ্ধে যে সরকারি মদতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলা, হত্যা, ধর্ষণ ও লুণ্ঠনের অভিযোগ উঠেছিল, সেই মামলার তদন্তের জন্য গঠিত কমিশনের নেতৃত্বও দিয়েছিলেন সাহাবুদ্দিন চুপ্পু।