কিশোরগঞ্জ: মানুষের জীবন বড়ই অনিশ্চিত। কখন কী ঘটে যায় বলা যায় না। জীবনের নেই কোনও নিশ্চয়তা। দুর্ঘটনা তো আর বলে কয়ে আসে না, একটু অসাবধনতার ফলাফল হতে পারে মারাত্মক। এমনই এক দুর্ঘটনার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশের ময়মনসিংহের এক ছোট্ট বালক। সোমবার বাড়ি থেকে সাইকেল চালাবে বলে বের হয়েছিল মহম্মদ সামিন, কিন্তু সেখানেই থেমে গেল এক ছোট্ট প্রাণ। সোমবার বিকেলে উপজেলার চক্ষু হাসপাতালের সামনে সড়ক দুর্ঘটনার প্রাণ হারিয়েছে ১১ বছর বয়সী ওই বালক। সে জেলা শহরের খরমপট্টি এলাকায় একটি স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ওই বালকের প্রাণ হারানোর পর এলাকা জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
জানা গিয়েছে, দু-তিন দিন আগে সামিন তাঁর আত্মীয়ের বাড়িতে ঘুরতে গিয়েছিল। সেখানেই গতকাল বিকেলে সেখানেই তিনি সাইকেল চালানোর জন্য বের হয়েছিল। স্থানীয় চক্ষু হাসপাতালের পার্শ্ববর্তী সড়কের ওপর হঠাৎ করে সে পড়ে যায। সাইকেলের হ্যান্ডেলের একটি ব্রেক তাঁর পেটে ঢুকে তলপেটে গিয়েছিল। গুরুতর আহত অবস্থায় রাস্তা পড়ে সে যন্ত্রণায় ছটফট করছিল। স্থানীরা তাঁকে সেখান থেকে তাঁকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল। সেখানেই সন্ধে বেলা সে প্রাণ হারিয়েছিল।
নিজের সন্তানের মৃত্যু কোনওভাবেই মেনে নিতে পারেননি সামিনের মা-বাবা। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান থেকে জানা গিয়েছে ঘটনার কথা জানার পর থেকেই বারবাপ তাঁরা জ্ঞান হারিয়েছেন। হাসপাতাল থেকে সামিনের দেহ কিশোরগঞ্জের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পর তাঁর বাব-মা, আত্মীয়স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। সামিনের চাচা জসিম উদ্দিন জানিয়েছেন মঙ্গলবার সকাল ১০ টার দিকে তাঁর বাড়ি পাশে গাইটাল শ্রীনগর এলাকার জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে যাবতীয় রীতিনীতি মেনে তাঁকে কবর দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন Bangladesh News: বিয়ে করার দাবিতে স্নান-খাওয়া বন্ধ দশম শ্রেণির ছাত্রের, ছেলেটির মা যা পদক্ষেপ করলেন…