ঢাকা: “বিএনপি হিন্দুবিরোধী, এমন একটা ধারণা তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু আমরা সব সম্প্রদায়ের ব্যক্তির অধিকারে বিশ্বাস করি।” বাংলাদেশে নতুন অন্তবর্তী সরকার তৈরির আবহে এ কথা বলছেন বিএনপি-র স্থায়ী কমিটির সদস্য তথা সে দেশের প্রাক্তন মন্ত্রী গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। প্রসঙ্গত, হাসিনার দেশ ত্যাগের পর সে দেশের সংখ্যালঘু তথা হিন্দুদের উপর লাগাতার হামলার অভিযোগ উঠেছে। জ্বলেছে গোটা দেশ। যা নিয়ে দফায় দফায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারতও।
বৃহস্পতিবার রাতে নতুন অন্তবর্তী সরকারের প্রধান হিসাবে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনুস শপথ নিতেই তাঁকে শুভেচ্ছা বার্তা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানেই হিন্দুদের সুরক্ষা যাতে দ্রুত নিশ্চিত করা হয় সে বিষয়ে ইউনুসকে বার্তা দিয়েছেন মোদী। এক্স হ্যান্ডেলে করেছেন পোস্ট। অন্যদিকে সে দেশে ফের নির্বাচন কবে হবে তা নিয়ে চাপানউতোর চলছে। জেল থেকে মুক্ত হয়েছেন খালেদা জিয়া। এখন নির্বাচন হলে যে বিএনপি যে বড় ভূমিকা রাখতে চলেছে তাতে কোনও সন্দেহের অবকাশ নেই। এই আবহে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের এই মন্তব্য ভারত-বাংলাদেশের আগামীর সম্পর্কের ক্ষেত্রে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মত আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ মহলের একটা বড় অংশের।
গয়েশ্বর আরও বলছেন, “বিএনপি বাংলাদেশের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকদের নিয়ে তৈরি হয়েছে। সব ধর্মের পক্ষেই রয়েছে আমাদের দল। ভাবের দিক থেকে বিএনপি জাতীয়তাবাদী দল হলেও আমরা সব সম্প্রদায়ের ব্যক্তির অধিকারে বিশ্বাস করি।” তিনি আবার বাংলাদেশের এই পরিস্থিতিতে ভারতের অবস্থান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। হাসিনা-ভারত সম্পর্ক নিয়েও তুলে দিয়েছেন এক গুচ্ছ প্রশ্ন। তাঁর প্রশ্ন, ভারত ও বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে তো কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু ভারত কী শুধু একটা দলকেই সমর্থন করবে? এরপরই খানিক হুঁশিয়ারির সুরেই তাঁর সংযোজন, “বিএনপি মনে করে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে সর্বদা পারস্পরিক সহযোগিতা থাকতে হবে। ভারত সরকারকেও তা অনুধাবন করতে হবে। কিন্তু আপনি যদি আমাদের শত্রুকে মদত দেন, তাহলে সম্মান করা কঠিন হয়ে পড়বে।”
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)