India-Bangladesh: মোদী ম্যাজিক! ভারত-বিরোধিতা ভুলে পথে এল খালেদা জিয়ার বিএনপি

Sep 25, 2024 | 6:22 PM

India-Bangladesh: আওয়ামি লিগ সরকারের পতনের পর, তাই দুই দেশের সম্পর্ক কোনদিকে এগোবে, সেই বিষয়ে সংশয় ছিল। বিশেষ করে বিএনপি-জামাতে ইসলামির নেতাদের মধ্যে ভারত সম্পর্কে বিরূপ মনোভাবই ছিল। কিন্তু, পরিস্থিতিটা বদলে দিল মোদী সরকারের কিছু পদক্ষেপ।

India-Bangladesh: মোদী ম্যাজিক! ভারত-বিরোধিতা ভুলে পথে এল খালেদা জিয়ার বিএনপি
মোদীর পদক্ষেপে হল কাজ, বরফ গলছে বলছে বিএনপি
Image Credit source: PTI

Follow Us

ঢাকা: বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর, ভারতের সঙ্গে এই প্রতিবেশী দেশের সম্পর্কর ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। আসলে ঐতিহাসিকভাবে বাংলাদেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপি-র সঙ্গে নয়া দিল্লির সম্পর্ক ভাল নয়। আওয়ামি লিগ সরকারের পতনের পর, তাই দুই দেশের সম্পর্ক কোনদিকে এগোবে, সেই বিষয়ে সংশয় ছিল। বিশেষ করে বিএনপি-জামাতে ইসলামির নেতাদের মধ্যে ভারত সম্পর্কে বিরূপ মনোভাবই ছিল। কিন্তু, পরিস্থিতিটা বদলে দিল মোদী সরকারের কিছু পদক্ষেপ। যার জোরে বিএনপি নেতারাও এখন বলছেন, “বরফ গলতে শুরু করেছে”।

সম্প্রতি, বিএনপির সদর দফতরে গিয়েছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার, প্রণয় ভার্মা। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগিরের সঙ্গে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কর বিষয়ে আলোচনা করেন ভাপতীয় কূটনীতিক। আর বিএনপি কার্যালয়ে এই বৈঠকেই হয়েছে বাজিমাত। এই বৈঠকের পরই, সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে আলমগির জানান, বিএনপি কার্যালয়ে প্রণয় ভার্মার এই সফর দুই দেশের জন্যই ইতিবাচক পদক্ষেপ ছিল।

মির্জা ফকরুল বলেন, “বাংলাদেশে গত নির্বাচনের পর থেকে আমাদের (ভারত-বিএনপি) সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। কিন্তু এবার আমাদের অফিসে ভারতীয় হাইকমিশনারের সফরে অবশ্যই পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। বরফ গলতে শুরু করেছে।” ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন হয়েছিল। বিএনপি-সহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি এক নিরপেক্ষ সরকারের আওতায় নির্বাচন চেয়েছিল। কিন্তু, হাসিনা প্রশাসন তাতে রাজি হয়নি। যার জেরে নির্বাচন বয়কট করেছিল বিএনপি। প্রায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছিলেন হাসিনা। সেই সময় ভারতের সমর্থন পেয়েছিলেন হাসিনা। তারপর থেকে ভারতের সোচ্চার বিরোধিতা করেছে বিএনপি। হাসিনা সরকারের সঙ্গে ভারতের বিভিন্ন চুক্তির সমালোচনা করেছে।

তবে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর থেকে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের উন্নতি হচ্ছে বলে মনে করেন আলমগির। তিনি বলেছেন, “ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক সবসময়ই ভালো ছিল। তবে বিএনপি ও ভারতের সম্পর্ক নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি ছিল। এখন সম্পর্কের আরও উন্নতি হচ্ছে। এটি (বিএনপি কার্যালয়ে ভারতীয় হাইকমিশনারের সফর) ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রেও একটি টার্নিং পয়েন্ট।”

বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ভারতের অন্যতম মাথাব্যথা বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপ। হাসিনা প্রশাসনের আমলে ভারত বিরোধী এই শক্তিগুলিকে মাথা তুলতে দেওয়া হত না। অতীতে বিএনপি সরকারের আমলে, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জঙ্গি সংগঠনগুলির সদস্যরা নিয়মিত বাংলাদেশে পালিয়ে গিয়ে আশ্রয় নিত। হাসিনা বিদায়ের পর, তাই এই নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছিল নয়া দিল্লিতে। তবে, বিএনপি-র পক্ষ থেকে ভারতকে আশ্বস্ত করা হয়েছে, তারা ক্ষমতায় এলে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলিকে তারা বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করতে দেবে না।

ভারতীয় হাইকমিশনারের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে আলমগির বলেছেন, “আমরা দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা জল বণ্টন সমস্যা, সীমান্ত এলাকায় হত্যা এবং বাণিজ্য বিষয়ে ভারসাম্যহীনতা নিয়ে আমাদের অবস্থান তুলে ধরেছি। ভারতের সবচেয়ে বড় সমস্যা নিরাপত্তা। আমরা তাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, যদি আমরা ক্ষমতায় আসি, বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলিকে বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করতে দেব না।”

Next Article