Tapeworm: কাশির সমস্যা নিয়ে গিয়েছিলেন হাসপাতালে, এক্স-রে রিপোর্ট দেখে হতবাক চিকিৎসক

TV9 Bangla Digital | Edited By: Sukla Bhattacharjee

May 08, 2023 | 8:18 PM

মস্তিষ্কে ফিতাকৃমি প্রবেশ করলে মাথাব্যথা এবং খিঁচুনি স্বাভাবিক ব্যাপার। এছাড়া মাথা ঘোরা, সিদ্ধান্তহীনতার মতো উপসর্গও দেখা যায়।

Tapeworm: কাশির সমস্যা নিয়ে গিয়েছিলেন হাসপাতালে, এক্স-রে রিপোর্ট দেখে হতবাক চিকিৎসক
প্রতীকী ছবি।

Follow Us

সাও পাওলো: বেশ কিছুদিন ধরে খুক-খুক করে কাশছিলেন। চিকিৎসা করাতে গিয়ে ধরা পড়ল, কাশির কারণ ফিতাকৃমি। ব্রাজিলের (Brazil) সাও পাওলোর বাসিন্দা, ওই ব্যক্তির এক্স-রে রিপোর্টে ধরা পড়েছে ফিতাকৃমির (Tapeworm) ছবি। সাঁও পাওলোর যে চিকিৎসক ওই ব্যক্তির চিকিৎসা করছিলেন, তিনি সেই এক্স-রে রিপোর্টের ছবি টুইটারে শেয়ারও করেন। যা রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে। পরিস্থিতি বুঝে অবশ্য পরে ওই টুইট মুছে দিয়েছেন চিকিৎসক। তবে ততক্ষণে সেই এক্স-রে ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। যদিও সেই এক্স -রে রিপোর্টের সত্যতা যাচাই করেনি TV9 ডিজিটাল।

এক্স-রে।

সাও পাওলোর ওই চিকিৎসক জানান, ওই ব্যক্তি cysticerosis নামক রোগে আক্রান্ত। ফিতাকৃমির লার্ভা সাধারণত মানুষের অন্ত্রে থাকে। cysticerosis রোগে আক্রান্ত হলে সেটি মস্তিষ্ক ও ত্বকের কোষেও ঢুকে যায়। যার ফলে সমস্যা গুরুতর হয়ে ওঠে। দৃষ্টিশক্তিরও সমস্যা হয়। এছাড়া নিউরো সমস্যাও হতে পারে। ওয়ার্ল্ড হেল্থ অর্গানাইজেশন (WHO) জানিয়েছে, এই অবস্থাটিকে ‘টেনিয়াসিস’ বলা হয় এবং বিভিন্ন ধরনের ফিতাকৃমির কারণেই এটা হতে পারে। তবে মস্তিষ্কে মূলত Taenia solium নামক ফিতাকৃমি প্রবেশ করে। এটিকে শুয়োরের ফিতাকৃমি বলা হয়, সেটি শরীরে প্রবেশ করলে স্বাস্থ্যের বড় ধরনের সমস্যা হতে পারে।

সাও পাওলোর ওই চিকিৎসক জানান, ফিতাকৃমি শরীরে থাকতেই পারে। মাথার যন্ত্রণা, দৃষ্টিশক্তি বা ত্বকের বিশেষ কোনও সমস্যা দেখা না দিলে কোনও সমস্যা নেই। তবে মস্তিষ্কে ফিতাকৃমি প্রবেশ করলে মারাত্মক ঘটনা ঘটতে পারে। মূলত এশিয়া, দক্ষিণ আমেরিকা ও পূর্ব ইউরোপের দরিদ্র অঞ্চলে এই রোগের আক্রান্তের সংখ্যা বেশি।

মাথায় ফিতাকৃমি প্রবেশের উপসর্গ কী?

মস্তিষ্কে ফিতাকৃমি প্রবেশ করলে মাথাব্যথা এবং খিঁচুনি স্বাভাবিক ব্যাপার। এছাড়া মাথা ঘোরা, সিদ্ধান্তহীনতার মতো উপসর্গও দেখা যায়। এটিকে হাইড্রোসেফালাস বলে। এই রোগের চিকিৎসা না করলে সমস্যা মারাত্মক হতে পারে। আবার Cysts-এর ফলে দৃষ্টিশক্তিরও সমস্যা হতে পারে। ইনফেকশনও হতে পারে।

cysticerosis রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণ কী?

চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, মূলত ফিতকৃমির ডিম খাওয়ার ফলে cysticerosis রোগ হয়। ডিম অথবা শূকর ঠিকমতো রান্না না করে খেলে তাদের দেহে থাকা ফিতাকৃমির ডিম শরীরে প্রবেশ করে। ফিতাকৃমির ডিম খাওয়ার পর cysticerosis রোগটি হতে একমাস অথবা একবছরও সময় লাগতে পারে। এই রোগ ঠেকাতে ভাল করে ধুয়ে খাবার খাওয়া উচিত।

চিকিৎসকদের মতে, সাধারণত ফিতাকৃমি স্বাস্থ্যের জন্য খুব একটা ক্ষতিকর নয়। এই পরজীবীর সাধারণভাবেই মৃত্যু হয়। তবে অস্ত্রোপচার করে বা ওষুধের মাধ্যমেও সহজে এটি শরীর থেকে বের করা যেতে পারে।

Next Article