Queen Elizabeth II’s Funeral: বিতর্ক, সমালোচনা, ভালোবাসা, আবেগ- সাত দশকের অধ্যায়ে ইতি টেনে রানিকে চিরবিদায় জানাবে বিশ্ব

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Sep 19, 2022 | 6:26 AM

Queen Elizabeth II's Funeral: রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষযাত্রায় যাতে কোনও ত্রুটি না থাকে, তার জন্য তৎপর যুক্তরাজ্যের প্রশাসন। শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত দুই হাজারেরও বেশি অতিথি।

Queen Elizabeth IIs Funeral: বিতর্ক, সমালোচনা, ভালোবাসা, আবেগ- সাত দশকের অধ্যায়ে ইতি টেনে রানিকে চিরবিদায় জানাবে বিশ্ব
আজই শেষকৃত্য রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ।

Follow Us

লন্ডন: বিশ্বের ইতিহাসের এক বর্ণময় অধ্যায়ের সমাপ্তি আজ। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্য হবে আজ। রাজকীয়ভাবেই বিদায় জানানো হবে ব্রিটেনকে দীর্ঘ ৭০ বছর ধরে শাসন করে আসা রানিকে। প্রিয় রানির শেষযাত্রায় তাই মনখারাপ ব্রিটেনের। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনেতারা ইতিমধ্যেই উপস্থিত হয়েছেন রানির শেষকৃত্যে সামিল হতে। গতকালই লন্ডনে পৌঁছন দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।

গত ৮ সেপ্টেম্বর স্কটল্যান্ডের বালমোরাল প্রাসাদে চিরনিদ্রায় চলে যান রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৬ বছর। ১০ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালনের পর আজ তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। বর্তমানে ব্রিটেন পার্লামেন্টের ওয়েস্টমিনস্টারে অ্যাবেতে রাখা রয়েছে রানির কফিন। আজ সেখান থেকেই বাকিংহ্যাম প্যালেস হয়ে  রাজকীয় নিয়মে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। প্রথা মেনে উইন্ডসর ক্যাসেলের অন্দরে ষষ্ঠ কিং জর্জের চ্যাপেলে সমাধিস্ত করা হবে ‘দ্য লংগেস্ট লিভিং মনার্ক’কে। স্বামী প্রিন্স ফিলিপের পাশের কবরেই শায়িত থাকবেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। ২০১১ সাল থেকে ২০২২ সাল অবধি এই দুর্গই ছিল রানির প্রধান বাসস্থান। এবার সেখানেই চিরনিদ্রায় যাবেন তিনি।

রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষযাত্রায় যাতে কোনও ত্রুটি না থাকে, তার জন্য তৎপর যুক্তরাজ্যের প্রশাসন। শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত দুই হাজারেরও বেশি অতিথি। থাকছেন দেশ-বিদেশের রাষ্ট্রপ্রধান সহ ৫০০ গণ্যমান্য  অতিথি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন থেকে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাক্রঁ, উপস্থিত থাকবেন অনেকেই। এই বিশাল কর্মকাণ্ড সামাল দেওয়ার জন্য চার হাজার স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হয়েছে। সঙ্গে থাকবেন রাজপরিবারের নিজস্ব কর্মীরাও। রানির শেষকৃত্যের অনুষ্ঠান সরাসরি টেলিভিশনেও সম্প্রচার করা হবে।

বিশ্বের অধিকাংশ দেশই আমন্ত্রিত হলেও, বেশ কিছু দেশকে আবার আমন্ত্রণও জানানো হয়নি। ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে আমন্ত্রণ পায়নি রাশিয়া-বেলারুশ। আমন্ত্রিতের তালিকায় নেই সিরিয়া, মায়ানমার, আফগানিস্তান, ভেনিজুয়েলাও। ঠাণ্ডা সম্পর্কের সমীকরণে উত্তর কোরিয়ার মতো কিছু দেশের নেতারাও আমন্ত্রিতের তালিকা থেকে রয়ে গিয়েছেন ব্রাত্য।কেবল রাষ্ট্রদূতদের কপালে জুটেছে আমন্ত্রণ। ইতিমধ্যেই লন্ডনে পৌঁছেছেন সস্ত্রীক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। পৌঁছে গিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুও। তাঁর পাশাপাশি রানির শেষকৃত্যে যোগ দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছেও এসেছিল  আমন্ত্রণপত্র। কিন্তু উজবেকিস্তানে সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের বৈঠকের পরে ঠাসা কর্মসূচি থাকায়, নিমন্ত্রণ ফেরাতে হয়েছে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে।

Next Article