Britain University Student: টয়লেট সিটে বসতেই প্রসব করলেন শিশু পুত্র, হতচকিত তরুণী

TV9 Bangla Digital | Edited By: অরিজিৎ দে

Jun 28, 2022 | 2:54 PM

United Kingdom: জেস জানিয়েছেন, "বরাবরই আমি অনিয়মিত ঋতুস্রাবের সমস্যার মুখোমুখি হই। সেই কারণে এবারও আমি বিশেষ গুরুত্ব দিইনি।

Britain University Student: টয়লেট সিটে বসতেই প্রসব করলেন শিশু পুত্র, হতচকিত তরুণী
ছবি- প্রতীকী চিত্র

Follow Us

লন্ডন: ব্রিটেনে এক অবাক করা ঘটনা ঘটেছে। ব্রিটেনের বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী নিশিযাপন করার জন্য বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে পেটে তীব্র যন্ত্রণা অনুভব করছিলেন। পেটে অসহ্য যন্ত্রণা হওয়ায় ওই তরুণী সটান বাথরুমে ঢুকে পড়েছিলেন। সেখানেই এক পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই পড়ুয়া, সংবাদপত্র ইন্ডিপেনডেন্ট প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এমনটাই জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, জেস ডেভিস নামে ২০ বছর বয়সী ওই তরুণীর গর্ভবতী হওয়ার কোনও লক্ষণ ছিল না। ঋতুমতী হওয়ার কারণেই তাঁর তলপেটে ব্যথা হয়েছিল। জেস ডেভিস নামের সাউদাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই পড়ুয়া জানিয়েছেন, তাঁর কোনও বেবি বাম্পও ছিল না। পেটে ব্যথার কারণে বাথরুমে গিয়ে টয়লেট সিটের ওপর বসেই সে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন। এই ঘটনায় তিনি নিজেই হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন। জানা গিয়েছে, চলতি মাসের ১১ তারিখ বিকেল ৪ টে ৪৫ নাগাদ ওই সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন ডেভিস।

জেস জানিয়েছেন, “বরাবরই আমি অনিয়মিত ঋতুস্রাবের সমস্যার মুখোমুখি হই। সেই কারণে এবারও আমি বিশেষ গুরুত্ব দিইনি। মাঝেমধ্যেই আমি বমি বমি ভাব অনুভব করেছি, সেই কারণে চিকিৎসকের পরামর্শ মত আমি নতুন বেশ কিছু ওষুধ খাচ্ছিলাম। শিশুটি জন্ম নেওয়ার পর আমি বিস্মিত হয়ে গিয়েছি, এটা আমরা জীবনের সবথেকে বড় ধাক্কা ছিল। মনে হচ্ছিল যেন স্বপ্ন দেখছি। এই ঘটনার পর আমার মনে হয়েছে এবার আমাকে আরও বেশি পরিণত হতে হবে। প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে উঠে শিশুটিকে আপন করে নিতে আমার বেশ খানিকটা সময়ে লেগেছিল ঠিকই, কিন্তু এখন সে আমার জীবনের সঙ্গে সব রকমভাবে জড়িয়ে গিয়েছে। আমার ছেলে খুবই শান্ত স্বভাবের এবং কোনও সময়েই আমাকে বিব্রত করে না।”

ওই তরুণী জানিয়েছেন, বাথরুমে সন্তানের জন্ম দেওয়া পর প্রথমে অবাক হয়ে গেলেও সঙ্গে সঙ্গে তিনি তাঁর নিজের ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে ফোন করেছিলেন। বন্ধু তাঁকে অ্যাম্বুলেন্স ডাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন। জেসকে প্রিন্সেস অ্যানি হাসপাকালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। জন্ম নেওয়া সন্তানটিকে বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল। এখন মা ও সন্তান দু’জনেই সুস্থ রয়েছেন।

Next Article