টরন্টো: স্বস্তির খবর ভারতীয়দের জন্য। সোমবার থেকে ভারত থেকে সরাসরি বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল কানাডা (Canada)। দীর্ঘ পাঁচ মাস ধরে বহাল থাকা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ায় কোভিড আবহেও ভারতীয়দের (Indian) জন্য আনন্দের খবর বলেই মনে করা হচ্ছে। চলতি বছরের এপ্রিল নাগাদ করোনার (Corona Virus Second wave) দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ে ভারতে। গত ২৩ মার্চ থেকে কানাডাগামী যাবতীয় বিমান পরিষেবার ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করে সে দেশের প্রশাসন।
গত শনিবার, কানাডার পরিবহণ দফতর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার বিষয়ে টুইটে জানায়, “২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ভারত-কানাডার বিমান চলাচলে কোনও বাধা আর থাকছে না। কিন্তু জনস্বাস্থ্য় বিষয়ক যাবতীয় বিধি-নিষেধ (Public Health Measures) মেনে চলতে হবে।” অন্তত ১৮ ঘণ্টা আগে দিল্লির বিশেষ পরীক্ষাগার থেকে করোনা পরীক্ষার নেগেটিভ শংসাপত্র দেখানো বাধ্যতামূলক বলে জানিয়েছে সে দেশের পরিবহণ দফতরের কর্তৃপক্ষ।
কোভিড পরীক্ষার নেগেটিভ রিপোর্টের পাশাপাশি বিমানের কর্মীরা যাচাই করে দেখবেন আদৌ সেই যাত্রী কানাডাতে প্রবেশ করার ক্ষেত্রে যোগ্য কিনা। কানাডায় আগত যাত্রীদের ‘অ্যারাইভ ক্য়ান’ (ArriveCan Website) নামের একটি বিশেষ ওয়েবসাইটে তাঁর কোভিড ভ্যাকসিন সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য আপলোড করতে হবে। এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন কানাডাতে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার অজয় বিসারিয়া। কানাডার এই সিদ্ধান্তকে দুই দেশের বিমান পরিষেবা স্বাভাবিক করার লক্ষ্যে করা ইতিবাচক পদক্ষেপ বলে ব্যাখ্যা করেন তিনি।
পূর্বনির্ধারিত যাবতীয় বাণিজ্যিক যাত্রীবাহী আন্তর্জাতিক বিমান ভারতে ওঠা নামার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা রয়েছে। আপাতভাবে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর অবধি এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে বলেই জানা গিয়েছে। এর আগে এই নিষেধাজ্ঞা অগস্ট মাসের শেষ অবধি বলবৎ ছিল। প্রসঙ্গত বলে রাখা ভালো আগের বছর মার্চ মাসের ২৩ তারিখ থেকে করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ার পর থেকই ভারতে আন্তর্জাতিক বিমান ওঠানামা বন্ধ করে দেয় সরকার। সেই সময় মে মাস থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত মিশন বন্দে ভারত (Vande Bharat Mission) আওতায় ভারত থেকে বিমান বেশ কিছু দেশে ওঠা নামা করেছিল।
ভারত করোনা শুরুর সময়ে ২৮ টি দেশে বাইল্যাটেরাল এয়ার বাবল্ (bilateral air bubble) পদ্ধতিতে বিমান পরিষেবা চালু করেছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন. সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, কেনিয়া, ভুটান, ফ্রান্সের মতো দেশ গুলির ৪৯টি শহরে ওই ‘মিশন বন্দে ভারতের’ আওতায় বিশেষ বিমান চলাচল করত। ‘বাইল্যাটেরাল এয়ার বাবল্’ পদ্ধতিতে দুই দেশের বিমান সংস্থাগুলি বেশ কিছু নিয়ম কানন মেনে বিমান চালাতে পারত। এর ফলে দুই দেশের বিমান সংস্থাগুলির আর্থিক লাভ প্রায় সমান থাকত।