নতুন দিল্লি: গত ১৫ আগস্ট কাবুল দখল করে নিয়েছিল তালিবানরা। তারপর থেকেই সমস্যা বাড়ছে আফগানিস্তানে। আফগানিস্তানে তালিবানি শাসন চালু হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন সংকট দেখা দিয়েছে আফগানিস্তানে। খাদ্য সমস্য়া তো রয়েইছে পাশাপাশি মহিলাদের উপরও জারি হয়েছে নানা বিধিনিষেধ। যার ফলে আতঙ্কে রয়েছেন সেখানকার মহিলারা। এর মধ্যে খবর পাওয়া যাচ্ছে বাল্য বিবাহের সংখ্যা ফের বাড়ছে আফগানদের দেশে। গত শনিবার ইউনিসেফের (UNICEF) কার্যনির্বাহী নির্দেশক হেনরিয়েটা ফোর জানিয়েছিলেন, যু্দ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানে পরিবারের মানুষ পণের বদলে ভবিষ্যতে বিয়ের জন্য ২০ দিন বয়সী শিশুকন্যাদেরও এগিয়ে দিচ্ছে বলে খবর রয়েছে। হেনরিয়েটা একটি বয়ানে বলেন, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতার আগেও ইউনিসেফের সহযোগীরা আফগানিস্তানের অকেলে হেরাত এবং বাগদীস এলাকায় ২০১৮ আর ২০১৯ এর মধ্যে ১৮৩টি বাল্য বিবাহ এবং শিশু বিক্রির মামলা নথীভূক্ত করেছে। এই বাচ্চাদের বয়স ৬ মাস থেকে ১৭ বছরের মধ্যে।
হেনরিয়েটা বলেন, আমি এই খবরগুলিতে ভীষণই চিন্তিত যে, আফগানিস্তানে বাল্য বিবাহের সংখ্যা বাড়ছে। আমরা বিশ্বস্ত সূত্রে খবর পেয়েছি, পরিবার পণের বদলে ভবিষ্যতে বিয়ের জন্য ২০ দিন বয়সী শিশুকন্যাকেও এগিয়ে দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, এই পরিস্থিতিকে কোভিড-১৯ মহামারী, চলতি খাদ্য সংকট তথা শীত শুরু হওয়া আরও গুরুতর করে তুলেছে। তাঁর মতে, ২০২০-তে আফগানিস্তানের প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যা এতটাই গরীব ছিল যে তাদের কাছে মৌলিক পুষ্টি বা পরিস্কার পানীয় জলের মতো সাধারণ জিনিসেরও অভাব ছিল।
হেনরিয়েটা বলেছেন, আফগানিস্তানে অত্যাধিক বিকট আর্থিক পরিস্থিতি পরিবারগুলিকে দারিদ্রের দিকে ঠেলে দিচ্ছে আর তাঁদের বাচ্চাদের কাজে পাঠানো তথা কম বয়সে মেয়েদের বিয়ে দিয়ে দেওয়ার মতো বিকল্প বেছে নিতে বাধ্য করছে। তিনি আরও বলেন, যেহেতু বেশিরভাগ কিশোরী মেয়েদের এখনও স্কুলে যাওয়ার অনুমতি নেই, ফলে বাল্য বিবাহের বিপদ আরও বেশি হয়ে গিয়েছে। শিক্ষা প্রায়শই বাল্য বিবাহ আর শিশু শ্রমের মতো নেগেটিভ সিস্টেমের বিরুদ্ধে সবচেয়ে ভাল সুরক্ষা হিসেবে গণ্য হয়।
আরও পড়ুন: Firhad Hakim: ‘আমার ধর্ম ইসলাম, অন্য ধর্মকে সম্মান করতে শেখায়’, কেন এমন টুইট ফিরহাদের?