বেজিং: ভয়ঙ্কর দিকে এগোচ্ছে চিনের (China) করোনা পরিস্থিতি (COVID-19 Situation)। অনেকেরই আশঙ্কা, আগামী দুই-তিন মাসে সংক্রমণের শিখরে পৌঁছতে পারে চিনের করোনা সংক্রমণ। তবে চিনের এক গবেষক জানালেন, সংক্রমণ আরও বড় আকার ধারণ করার সম্ভাবনা কম। কারণ ইতিমধ্যেই দেশের ৮০ শতাংশ জনগণ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। শনিবার চিন সরকারের এক নামকরা গবেষক জানান, আসন্ন লুনার নিউ ইয়ার (Lunar New Year) (চিনা নববর্ষ)-র ছুটিতে ব্যাপক গতিবিধির কারণে বিভিন্ন এলাকায় করোনা সংক্রমণ বাড়লেও, নতুন করে করোনার ঢেউ আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
চিনের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের প্রধান এপিডেমিওলজিস্ট উ জ়ুনইউ বলেন, “লুনার নিউ ইয়ারের সময়ে চিনে করোনা সংক্রমণ কিছুটা বাড়লেও, তা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের আকার ধারণ করবে না। কারণ ইতিমধ্যেই দেশের ৮০ শতাংশ জনগণই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্য়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও গড়ে উঠেছে। ফলে নতুন সংক্রমণের ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করার সম্ভাবনা তুলনামূলকভাবে অনেকটাই কম।”
চিনে প্রতি বছরই লুনার নিউ ইয়ারের সময়ে প্রচুর সংখ্যক চিনের বাসিন্দা দেশে ফেরেন। এই সময়ে এত সংখ্যক মানুষের গতিবিধির জন্য সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকে। বৃহস্পতিবারই ন্যাশনাল হেলথ কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, চিনে করোনার সংক্রমণ শিখর পার করে এসেছে। বিগত কয়েক মাস ধরে দেশের জ্বরের ক্লিনিক, এমার্জেন্সি রুমগুলিতে যেভাবে করোনা রোগী উপচে পড়ছিল, তাও তুলনামূলকভাবে কমতে শুরু করেছে।
সম্প্রতিই চিনের প্রকাশ করা তথ্যে জানানো হয়েছিল, ১২ জানুয়ারি অবধি চিনে করোনা সংক্রমণে প্রায় ৬০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে চিনের বিরুদ্ধে তথ্য লুকোনোর অভিযোগ আনার পরই এই তথ্য প্রকাশ করে চিন সরকার। তবে বহু বিশেষজ্ঞদের মতে, এই গণনাও অসম্পূর্ণ। কারণ বহু করোনা আক্রান্তই হাসপাতালে যেতে পারেননি। বাড়িতেই তাদের মৃত্যু হয়েছে। বহু চিকিৎসকদেরও মৃত্যুর সার্টিফিকেটে করোনার কথা উল্লেখ করতে বারণ করা হয়েছিল বলে দাবি।