Nepal Plane Crash: চিনের থেকে কোটি কোটি টাকা ঋণ নিয়ে তৈরি হয়েছিল পোখরা বিমানবন্দর

Nepal Plane Crash: পোখরা বিমানবন্দরেই অবতরণের কথা ছিল নেপালের দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের। এই পোখরা বিমানবন্দর চিনের থেকে কোটি টাকা ঋণ নিয়ে তৈরি।

Nepal Plane Crash: চিনের থেকে কোটি কোটি টাকা ঋণ নিয়ে তৈরি হয়েছিল পোখরা বিমানবন্দর
গ্রাফিক্স: টিভি৯ বাংলা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 15, 2023 | 3:26 PM

কাঠমান্ডু: রবিবার সকালে কাঠমান্ডু (Kathmandu) থেকে পোখরা যাওয়ার পথে ভেঙে পড়ে ইয়েতি এয়ারলাইন্সের বিমান। সেই সময় বিমানে উপস্থিত ছিলেন ৬৮ জন যাত্রী, ৪ জন কেবিন ক্রু ও পাইলট। এখনও পর্যন্ত ৪০ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। তার মধ্যে ৩২ জন মারা গিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। পোখরা বিমান বন্দরের (Pokhra International Airport) কাছে ভেঙে পড়ে ৭২ আসনের ইয়েতি এয়ারলাইন্সের (Yeti Airlines) এই বিমান। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, বিমানে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। কালো ধোঁয়ায় ঢেকেছে চারদিকের আকাশ। তবে যেখানে এই দুর্ঘটনা হল সেই পোখরা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর মাত্র দু’ সপ্তাহ আগেই উদ্বোধন করা হয়েছিল।

গত ১ জানুয়ারি পোখরা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর উদ্বোধন করেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী (Nepal Prime Minister) পুষ্প কমল দাহাল (Pushpa Kamal Dahal)। জানা গিয়েছে, চিনের তরফে আর্থিক সাহায্যে এই বিমানবন্দর তৈরি হয়েছিল। এই বিমানবন্দর উদ্বোধনের পর নেপালের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আন্তর্জাতিক অঞ্চলের সঙ্গে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হল। প্রসঙ্গত, গত বছর চিনের বিদেশমন্ত্রী (Chinese Foreign Minister) ইয়াং ই (Yang Yi) এই পোখরা আঞ্চলিক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর তৎকালী নেপালের প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবাকে হস্তান্তর করেন। এদিকে এই বিমানবন্দরের উদ্বোধনের আগে বিতর্ক দানা বেঁধেছিল। এই বিমানবন্দরের উদ্বোধনের আগেই নেপালের কাঠমান্ডুতে চিনা দূতাবাসের তরফে ঘোষণা করা হয়, চিন-নেপালের মধ্যে বিআরআই কোঅপারেশনের ফ্ল্যাগশিপ প্রজেক্ট হল এই পোখরা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। তথ্য বলছে, ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে পোখরা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাজ শুরু হয়। পাঁচ বছরে এই নির্মাণ কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। এই বিমানবন্দর তৈরিতে মোট খরচ হয়েছিল ৩০৫ মিলিয়ন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় এখন যা ২৪৭৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে ২১৫ মিলিয়ন ডলার লোন নেওয়া হয়েছে চিনের এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাঙ্ক থেকে। এখন ভারতীয় মুদ্রায় যার মূল্য ১৭৭৫ কোটি টাকা।

দূতাবাসের তরফে বলা হয়েছিল, “চিন-নেপাল বিআরআই কোঅপারেশনের একটি ফ্ল্যাগশিপ প্রজেক্ট এটি। নেপালি সরকার ও নেপালি নাগরিকদের উষ্ণ অভ্যর্থনা।” তবে নেপালের স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, চিনা দূতাবাসের এহেন মন্তব্য ঘিরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন দাহাল। তাঁর উদ্বোধনী বক্তৃতায় তিনি এই বিষয়ে কিছু উল্লেখও করেননি। এ দিনের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৩২ জনের মৃত্য়পুর খবর মিলেছে। জানা গিয়েছে, ওই বিমানে ৫ জন ভারতীয় নাগরিকও ছিলেন। এখনও চলছে উদ্ধারকাজ।