Video: নেপালে কীভাবে বিমান অবতরণ করে জানেন? এই ভিডিয়ো দেখলে আর প্লেনে ওঠার সাহস হবে না
Nepal's Dangerous Lukla Airport: ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার মধ্য়েই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে নেপালের এক বিমানবন্দরে বিমান ওঠা-নামার ভিডিয়ো। এভারেস্টের বেস ক্যাম্পের কাছেই অবস্থিত এই বিমান বন্দরকেই বলা হয় বিশ্বের সবথেকে বিপজ্জনক বিমানবন্দর।
কাঠমাণ্ডু: রবিবার (১৫ জানুয়ারি), সকালে এক ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার সাক্ষী হয়েছে নেপাল। এদিন পোখরাতে ৬৮ জন যাত্রী এবং ৪ ক্রু সদস্য নিয়ে ভেঙে পড়েছে ইয়েতি এয়ারলাইন্সের একটি যাত্রীবাহী বিমান। রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে পোখরা আসছিল বিমানটি। পোখরা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছেই এক জায়গায় বিমানটি ভেঙে পড়ে (Nepal plane crash)। এখনও পর্যন্ত অন্তত ৪০ জন যাত্রীর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা গিয়েছে। তবে যাত্রী ও ক্রু সদস্যদের প্রত্যেকেরই মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে নেপালের এক বিমানবন্দরে বিমান ওঠা-নামার ভিডিয়ো। এভারেস্টের বেস ক্যাম্পের কাছেই অবস্থিত, নেপালের লুকলা বিমানবন্দরকেই বলা হয় বিশ্বের সবথেকে বিপজ্জনক বিমানবন্দর। এই বিমানবন্দরে বিমান নামাতে এবং ওড়াতে বাঘা বাঘা পাইলটদেরও বুক কাঁপে। আর যাত্রীদেরও এই বিমানবন্দরে যাতায়াত করতে হয়, প্রাণ হাতে করে।
১৯৭০ সালে, হিমালয়ের কোলে তৈরি করা হয়েছিল এই লুকলা বিমানবন্দর। অপর নাম তেনজিং-হিলারি বিমানবন্দর। ১০ হাজার ফুট উচ্চতায় অবস্থিত হওয়ায়, বাতাসের চাপ এখানে খুবই কম থাকে। তাই, পাইলটদের পক্ষে বিমান উত্তরণ এবং অবতরণ করার কাজটা মোটেই সহজ নয়। সেই সঙ্গে বিমানবন্দরটিকে ঘিরে রয়েছে খাদ এবং সুউচ্চ পর্বতশৃঙ্গ। রানওয়েও খুবই ছোট। বিশ্বের অধিকাংশ বিমানবন্দরগুলির রানওয়ের দৈর্ঘ যেখানে গড়ে ১০,০০০ ফুটের বেশি, সেখানে লুকলা বিমানবন্দরের রানওয়ের দৈর্ঘ মাত্র ১৭২৯ ফুট। সেই সঙ্গে রয়েছে ঢালও। কাজেই হিসেবের সামান্য ভুলেই গভীর খাদে পড়ে যেতে পারে বিমান, অথবা ধাক্কা লাগতে পারে পাহাড়ে। এখানেই বিপদের শেষ নয়। রানওয়ের এক প্রান্তে গভীর খাদ থাকলে, অন্যদিকে রয়েছে একটি ৬০০ মিটার গভীর পরিখা।
দেখুন কীভাবে বিমান ওঠা-নমা করে লুকলা বিমান বন্দরে –
Jai Ho
Lukla airport at Everest base camp, runway only 1500 ft. Enjoy 6 mins video, very cramped & very busy air ops in a clear weather window. pic.twitter.com/zi1ciYukpG
— दिलीप निराला (Dilip Nirala) (@niraladilip2) January 11, 2023
তাই বলে, এই বিপজ্জনক বিমান বন্দরে যে বিমান ওঠা-নামা করে না, তা নয়। বস্তুত, কাঠমান্ডু এবং লুকলার মধ্যে বহু উড়ান যাতায়াত করে। এভারেস্টে উঠতে গেলে, এই বিমান বন্দরের মাধ্যমে সহজেই বেসক্যাম্পে পৌঁছে যাওয়া যায়। এই বিমানবন্দর হয়েই যেতে হয় এভারেস্টের বেসক্যাম্পে। তবে এই সুউচ্চ এলাকায় অবস্থিত বিমানবন্দরটি অধিকাংশ সময়ই মেঘলা থাকেয। সেটাও এই বিমানবন্দরে বিমান ওড়ানো বা অবতরণের ক্ষেত্রে পাইলটদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়। তবে আবহাওয়া পরিষ্কার থাকলে, একের পর এক বিমান নামতেই থাকে। মূলত ছোট আকারের বিমানই এই বন্দরে ওঠানামা করে।