বেজিং: সোমবারই ঘটে গিয়েছিল মারাত্মক দুর্ঘটনা। দক্ষিণ চিনে কুনমিং শহর থেকে গুয়াংজুর যাওয়ার পথে বোয়িং ৭৩৭ বিমান (Boeing 737 Plane) মাঝ আকাশে ১৩৪ জন যাত্রী নিয়ে ভেঙে পড়ে। এই ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার (China Plane Crash) ভিডিয়ো সামনে আসার পর অনেক জানতে চেয়েছিলেন যে কেন এই অত্যাধুনিক বিমান ভেঙে পড়ে। বুধবার, ঘটনার ঠিক দু’দিন পর তদন্তকারী দল তন্ন তন্ন করে তল্লাশি চালানোর পর বিমানের ব্ল্যাক বক্স (Black Box) খুঁজে পেয়েছে। এখনও অবধি সরকারি তরফে কোনও মৃত্যুর কোনও সংখ্যা জানানো না হলেও ওই বিমানে থাকা কোনও যাত্রীর বেঁচে থাকা কোনও সম্ভবনা নেই বলে মনে করা হচ্ছে। তদন্তকারীরা এখনও সঠিক ভাবে বলতে পারছেন না ঠিক কী কারণে ওই বিমানটি ভেঙে পড়েছিল।
বিমান দুর্ঘটনার যে ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছিল, তাতে দেখা গিয়েছিল যে বিমানটি তীব্র গতিতে সোজাসুজি নিচে নেমে আসছিল। বিমানের পরিভাষায় এটিকে ‘নোজডাইভ’ বলে। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রযুক্তিগত কারণের জন্য বিমান এই ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারে। কারণ স্বাভাবিকভাবে বিমান যখন জরুরি ভিত্তিতে অবতরণ করে, তখন বিমান সর্বোচ্চ ৩৫০০ ফুট/ প্রতি মিনিটে নেমে আসতে পারে। অবতরণের গতি এর বেশি হলে যাত্রীরা অস্বচ্ছন্দ্য বোধ করবেন। কিন্তু চিনের এই বিমানটি প্রতি মিনিটে প্রায় ১০ হাজার ফুট নিচে নেমে এসেছিল। বিমানটি ভেঙে পড়ার সময় ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ হয়। সেই দৃশ্যও প্রকাশ্যে এসেছিল।
কোনও বিমান দুর্ঘটনা ঘটলে বিশেষজ্ঞরা সাধারণত জানিয়ে থাকে, যদি বিমানের ব্ল্যাক বক্স খুঁজে পাওয়া যায়, তবেই দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা যাবে। সেই কারণে দু’দিন ধরে তদন্তকারী দল হন্যে হয়ে ভেঙে পড়া বিমানে ব্ল্যাক বক্স খুঁজছিল। শেষমেশ বিমানের ব্ল্যাক বক্স পাওয়া গিয়েছে। প্রসঙ্গত, চিনে প্রায় ৩০ বছর পর এই ধরনের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা ঘটল। এই দুর্ঘটনার পর দেশজুড়ে জাতীয় শোকও ঘোষণা করা হয়েছিল। চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের কথা ঘোষণা করেছিলেন এবং ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে সরকার সেখানে সেনা জওয়ান ও উদ্ধারকারীদের পাঠিয়েছিল। বুধবার বিমানে থাকা যাত্রী ও কর্মীদের পরিবারকেও ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এখন ব্ল্যাক বক্স খুঁজে পাওয়ার পর দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে কী জানা যায় সেদিরেই নজর থাকবে সকলের।