বেজিং: ভেঙে পড়ার আগেই সাড়াশব্দ আসা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ককপিট (Cockpit) থেকে। এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের তরফে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও চিনের বোয়িং ৫৭৩৫ বিমানের দুই পাইলটই কোনও জবাব দেননি। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করে এমনটাই জানানো হল চিনা (China) প্রশাসনের তরফে। প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে, যান্ত্রিক গোলযোগ নয়, পাইলটরা সংজ্ঞা হারানোর পরই ভেঙে পড়ে ওই চিনা বিমান।
চিনের অসামরিক উড়ান পরিবহন দফতরের এক আধিকারিক জানান, স্থানীয় সময় দুপুর ২টো ২৩ মিনিট নাগাদ ব়্যাডার থেকে আচমকাই উধাও হয়ে যায় ৫৭৩৫ বোয়িং বিমানটি। এর কয়েক মিনিটের মধ্যেই দেখা যায়, নির্দিষ্ট গতিপথ ছেড়ে দ্রুতগতিতে নীচের দিকে নেমে আসছে বিমানটি। এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের তরফে একাধিকবার বিমানের পাইলটদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও, ওপার থেকে কোনও জবাবই আসেনি।
ভেঙে পড়া বিমানের যাত্রীদের দেহ উদ্ধারের জন্য মঙ্গলবার সারাদিন ধরে তল্লাশি অভিযান চালায় চিনা প্রশাসন। তবে এখনও অবধি কোনও সূত্রই মেলেনি বলে জানানো হয়েছে। ফলে সোমবার ঠিক কী কারণে ওই যাত্রীবাহী বিমানটি ভেঙে পড়েছিল, সে সম্পর্কে স্পষ্টভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না। দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলে বিমানটি ভেঙে পড়ায় উদ্ধারকার্য ও তদন্ত আরও কঠিন হবে বলেই জানিয়েছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
চিনের প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, এখনও অবধি ভেঙে পড়া ওই বিমানের ব্ল্যাক বক্সও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এরফলে বিমানটি ভেঙে পড়ার ঠিক আগের মুহূর্তে ককপিটের ভিতরে কী কথাবার্তা হয়েছিল পাইলটদের মধ্যে, সে সম্পর্কে কিছুই জানা যায়নি।
২৯ হাজার ফুট থেকে হঠাৎ কীভাবে ১৩২ জন যাত্রী নিয়ে ভেঙে পড়েছিল বোয়িং ৭৩৭-র ৫৭৩৫ বিমান, সে সম্পর্কে জানা না গেলেও, ভেঙে পড়ার আগে থেকেই পাইলটদের জবাব আসা বন্ধ হয়ে যাওয়ায়, এক পক্ষের দাবি, কোনও কারণে সংজ্ঞা হারিয়েছিলেন বিমানের দুই পাইলটই। সেই কারণেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিমানটি সোমবার গুয়াংশি প্রদেশের উজ়োউ পার্বত্য অঞ্চলে ভেঙে পড়ে। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, এত উচ্চতা থেকে ভেঙে পড়ায় কোনও যাত্রীরই বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই বলেই মনে করা হচ্ছে।