বেজিং: শি-র দেশে এখন কোভিডের (Covid-19) চোখ রাঙানি। প্রতিদিন কাতারে কাতারে মানুষ মারা যাচ্ছেন সেখানে। হাসপাতালের বাইরে রোগীদের লম্বা লাইন। হাসপাতালের ভিতরের ছবিও আতঙ্ক বাড়ে খানিকটা। এক রোগীর ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছেন আরেক রোগী। বেডের আকাল। রোগীর চিকিৎসা করতে নিজেরাই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন চিকিৎসকরা। যেন দু’ বছর আগের সেই পুরনো ছবি ফের ফিরে এসেছে চিনের নাগরিকদের জীবনে। প্রতিদিন শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন সেখানকার নাগরিকরা। চিনের এরকম বহু ছবি উঠে এসেছে বিশ্বের কাছে। তবে এই পরিস্থিতিতেও চিনের বিরুদ্ধে পরিসংখ্যান লুকনোর অভিযোগ উঠেছে। যে মুহূর্তে কোভিডের এত বাড়বাড়ন্ত সেই সময় প্রথম মুখ খুললেন চিনা প্রেসিডেন্ট (Chinese President) শি জিনপিং (Xi Jinping)।
সোমবার তিনি সরকারি আধিকারিকদের সাধারণ মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য পদক্ষেপ করার আবেদন জানান। স্টেট ব্রডকাস্টার সিসিটিভি অনুযায়ী শি বলেছেন, “বর্তমানে চিনে কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ এক নয়া পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে।” তিনি আরও বলেন,”আমাদের একটি লক্ষ্য নির্দিষ্ট করে দেশপ্রমী স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রচার করা উচিত… মহামারি প্রতিরোধের ও নিয়ন্ত্রণের জন্য এবং মানুষের জীবন সুরক্ষিত করার জন্যএকটি সম্প্রদায়ের প্রতিরক্ষার লাইনকে শক্তিশালী করে তোলা উচতি।”
প্রসঙ্গত, চরম বিক্ষোভের মুখে পড়ে চিনের জ়িরো কোভিড নীতি প্রত্যাহার করেছে প্রশাসন। তারপরই হু হু করে বেড়েছে করোনা সংক্রমণ। এখন এমনই অবস্থা যে সংক্রমণে বেড়ি পরাতে রীতিমতো বেগ পেতে হচ্ছে প্রশাসনকে। মূলত চিনের এই লাগামছাড়া সংক্রমণের পিছনে ওমিক্রনের সাব ভ্যারিয়েন্ট বিএফ.৭ কেই দায়ী করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতি বিশেষজ্ঞদের অনুমান, আগামী কয়েক মাসে চিনে প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ কোভিডে মারা যেতে পারেন। বর্তমানে সেখানে স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে হাহাকারের সৃষ্টি হয়েছে। সাধারণ জ্বরের ওষুধ মিলছে না বাজারে। হাসপাতাল এবং শ্মশানে লাইন পড়ে গিয়েছে সাধারণ মানুষের। এই পরিস্থিতিতে রবিবার চিনের ন্যাশনাল হেলথ কমিশন ঘোষণা করেছে, তারা দেশে মোট আক্রান্ত ও মৃতের পরিসংখ্যান দেওয়া বন্ধ করে দেবে। এর ফলে বিশ্বের কাছে চিনের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে কোনও স্পষ্ট ধারণা থাকবে না।