বেজিং: আমেরিকার পর এ বার চিনে(China)-ও মিলল মাঙ্কিপক্সে (Monkeypox) আক্রান্তের খোঁজ। সম্প্রতিই বেজিংয়ের এক পশু চিকিৎসক মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হন এবং পরে তার মৃত্যুও ঘটে। চিনের স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মার্চ মাসেই ওই চিকিৎসক দুটি বাঁদরের শবচ্ছেদ করেন। এরপরই তিনি আক্রান্ত হন বলে মনে করা হচ্ছে।
শনিবার চিনের স্বাস্থ্য দফতর থেকে জানানো হয়, ৫৩ বছর বয়সী ওই পশু চিকিৎসক মার্চ মাস থেকেই অসুস্থ ছিলেন। প্রথমে তাঁর মাথা ঘোরা ও বমি শুরু হয়। এরপর জ্বর ও স্নায়ু সমস্যাও দেখা দেয়। বহু হাসপাতালে ঘুরলেও কোথাও তাঁর সঠিক চিকিৎসা করা সম্ভব হয়নি রোগ চিহ্নিত না হওয়ায়। এরপর গত ২৭ মে ওই চিকিৎসকের মৃত্যু হয়।
এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে বিজ্ঞানীরা আগামী প্রজন্মের সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য ওই ব্যক্তির সেরিব্রোস্পাইনাল তরল সংগ্রহ করেন। সেই নমুনাতেই আলফাহারপিসভাইরাস সংক্রমণ দেখা যায়। মৃত ব্যক্তির গায়ে যে ফোস্কাগুলি পড়েছিল, তার থেকে ও নাক, গলা, প্লাজমার সোয়াব সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ভাইরাল ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনে পাঠানো হলে, সেখানে আরটি-পিসিআর পরীক্ষায় মাঙ্কি ভাইরাস ধরা পড়ে।
সম্প্রতি নাইজেরিয়া ফেরত এক মার্কিন নাগরিকের দেহেও ধরা পড়েছে মাঙ্কিপক্স। বর্তমানে ওই ব্যক্তি ডালাসের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, সাধারণত পশুরাই মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়। মানবদেহে এই ভাইরাসের সংক্রমণ অত্যন্ত বিরল। আক্রান্ত পশুদের সংস্পর্শে এলে তবেই মানুষের মধ্যে এই ভাইরাস থাবা বসাতে পারে। করোনার মতো মাঙ্কিপক্সও ড্রপলেটের মাধ্যমে ছড়াতে পারে। ১৯৯০ সালে প্রথম মাঙ্কিপক্সের প্রথম সন্ধান মেলে। ২০০৩ সালে আমেরিকায় ভয়ানক আকার ধারণ করে মাঙ্কিপক্স। তবে এই সংক্রমণে মৃত্যু হার খুবই কম। আরও পড়ুন: নিজে আইসোলেশনে, তবুও সম্পূর্ণ আনলকের ঘোষণা বরিসের, তুলে নেওয়া হল মাস্ক পরার নিয়মও!