নিজে আইসোলেশনে, তবুও সম্পূর্ণ আনলকের ঘোষণা বরিসের, তুলে নেওয়া হল মাস্ক পরার নিয়মও!

UK Unlock Process: ব্রিটেনে যেখানে সংক্রমণের দৈনিক সংখ্যা ৫০ হাজার, সেখানে এই মুহূর্তে আনলক করার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বিরোধী দলের নেতা জোনাথন অ্যাশওয়ার্থ বলেন, "সরকার অবিবেচকের মতো সিদ্ধান্ত নিয়েছে।"

নিজে আইসোলেশনে, তবুও সম্পূর্ণ আনলকের ঘোষণা বরিসের, তুলে নেওয়া হল মাস্ক পরার নিয়মও!
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 19, 2021 | 7:49 AM

লন্ডন: ডেল্টার দাপট কমেনি এখনও, তার আগেই তুলে দেওয়া হল লকডাউন(lockdown)। থাকল না কোনও বিধিনিষেধের বেড়াজালও। সোমবার থেকেই পুরোদমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরছে ব্রিটেন (Britain)। এ দিকে, উর্ধ্বমুখী সংক্রমণের মাঝে সমস্ত বিধিনিষেধ তুলে দেওয়া সমালোচনায় সরব বিজ্ঞানী থেকে শুরু করে বিরোধীরা।

গত ২১ জুনই আনলক প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে (Delta Variant) একলাফে আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই বেড়ে যাওয়ায় লকডাউনের মেয়াদ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল একমাস। রবিবার মধ্যরাত থেকেই সেই বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হয়। খুলে গিয়েছে নাইট ক্লাব, অর্ধেক সংখযক নয়, পূর্ণ সংখ্যক ধারণক্ষমতা নিয়েই পরিচাল হবে এই ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলি।  অন্যদিকে, বাইরে বের হলে বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা কিংবা বাড়ি থেকেই যথাসম্ভব কাজ পরিচালনের নিয়মগুলিও তুলে দেওয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, যিনি নিজেই সেল্ফ আইসোলেশনে রয়েছেন করোনা আক্রান্ত স্বাস্থ্যমন্ত্রী সংস্পর্শে এসে, তিনি সাধারণ মানুষকে সচেতন থাকতে বলেন এবং যত দ্রুত সম্ভব টিকাকরণ কর্মসূচিতে নাম লেখাতে বলেন। লকডাউন থেকে “স্বাধীনতা”র সিদ্ধান্তের সপক্ষে তিনি বলেন, “যদি আমরা এখন আনলক না করি, তবে সেই বসন্তকালে আনলক করতে হবে। কারণ শীতকালে ভাইরাস ছড়ানোর সম্ভাবনা বেশি থাকে। সুতরাং আমাদের এখনই এই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তবে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।”

ব্রিটেনে যেখানে সংক্রমণের দৈনিক সংখ্যা ৫০ হাজার, সেখানে এই মুহূর্তে আনলক করার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বিরোধী দলের নেতা জোনাথন অ্যাশওয়ার্থ বলেন, “সরকার অবিবেচকের মতো সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সময়ে সবকিছু খুলে দিলে গোটা বিশ্বে স্বাস্থ্যসঙ্কট দেখা দিতে পারে। কোনও বিধিনিষেধ ছাড়াই সমস্ত পরিষেবা চালু করার বিরোধিতা করছি আমরা।”

এ দিকে, আনলকে বিপদের সঙ্কেত দেখছেন গবেষকরাও। তারা জানিয়েছেন, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের প্রভাবে যে হারে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাতে দৈনিক এক লক্ষ আক্রান্তের দিকেই এগোচ্ছি আমরা। এ বার প্রতিদিন দুই লক্ষেরও বেশি আক্রান্ত ও দুই হাজারেরও বেশি মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হতে পারে। এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে স্বাস্থ্য পরিষেবা ভেঙে পড়তে বাধ্য। আরও পড়ুন: আস্থা ভোটে জিতে নেপালের নয়া প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবা, টুইটারে শুভেচ্ছা মোদীর