দুধ-ভাত খাওয়ার কত লাভ জানেন? শুনলে চমকে যাবেন
Lifestyle Tips: দুধে আছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি১২। যা হাড়, দাঁত, পেশি ও স্নায়ু মজবুত করতে সাহায্য করে।

কাউকে কম গুরুত্বপূর্ণ বোঝাতে হলে মজা করে বলা হয় ‘দুধে ভাতে’। এতো গেল মজার কথা। তবে বাঙালিদের অন্যতম পছন্দের পদ হল দুধ ভাত খাওয়া। বিশেষ করে গরমে এই খাবার খেলে হজম হয় সহজে। রয়েছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারীতাও। দুধে আছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি১২। যা হাড়, দাঁত, পেশি ও স্নায়ু মজবুত করতে সাহায্য করে। এ ছাড়া লোহিত রক্তকণিকা উৎপাদনেও বেশ উপকারী। আবার ভাতে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট, যা শক্তি জোগায়। দুধ-ভাত খেলে কী কী উপকার হয় জানেন?
১। ভাত ও দুধের মিশ্রণ কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন ও ফ্যাটসমৃদ্ধ একটি সুষম খাবার সরবরাহ করে। ভাতের কার্বোহাইড্রেট শক্তির ভাল উৎস। অন্যদিকে দুধ থেকে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি পাওয়া যায়।
২। এই মিশ্রণ দ্রুত শক্তি উৎপাদন করে, যেমন দুধ–ভাত খেলে ভাতের কার্বোহাইড্রেট ও দুধের প্রোটিন সারা দিন শক্তির মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
৩। ভাত সহজে হজম হয়। দুধে যাঁদের কোনো সমস্যা নেই, তাঁদের জন্য দুধমাখা ভাত আরামদায়ক খাবার।
৪। এই মিশ্রণ পেট ভরতে সাহায্য করে। অল্পতেই ক্ষুধা নিবারণ হয়। অতিরিক্ত খাওয়ার আশঙ্কা কম থাকে।
দুধ যাঁদের সহজে হজম হয় না, তাঁদের দুধ–ভাতেও সমস্যা হতে পারে। এ ছাড়া দুধ ও ভাত অনেক সময় অ্যাসিডিটির কারণ হতে পারে। এই মিশ্রণ ক্যালরি সমৃদ্ধ খাবার। তাই নিয়মিত দুধ-ভাত খেলে ওজন বেড়ে যায়।
আসলে দুধ-ভাত খেলে কোনও সমস্যা হবে কি না, তা ব্যক্তির শারীরিক অবস্থা ও খাদ্যাভ্যাসের ওপর নির্ভর করে। সাধারণত সুস্থ ব্যক্তিরা দুধ দিয়ে ভাত খেতে পারেন। তবে হজমের সমস্যা, অম্বল ও ওজন বৃদ্ধির ঝুঁকি থাকলে দুধ দিয়ে ভাত খাওয়া এড়িয়ে চলা ভালো।





