বেজিং: ভয়ঙ্কর গতিতে ছড়াচ্ছে সংক্রমণ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের দাপটে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে গোষ্ঠী সংক্রমণ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক হারে করোনা পরীক্ষা ও বিধিনিষেধের উপরই ভরসা রাখছে চিনা প্রশাসন।
রবিবার চিনের স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানানো হয়, নতুন করে ৭৫ জন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে, এদের মধ্যে ৫৩ জনই গোষ্ঠী সংক্রমণের শিকার। গত ২০ জুলাই নানজিং শহরের বিমানবন্দরে নয়জন সাফাইকর্মী করোনা আক্রান্ত হন। তাদের মাধ্যমেই এখনও অবধি গোষ্ঠী সংক্রমণ ছড়িয়েছে ২০টি শহর ও ১২টি অঞ্চলের ২০০-রও বেশি বাসিন্দার মধ্যে।
সংক্রমণ শুরুর প্রথম কিছু মাস প্রবল লড়াই চালাতে হলেও তারপরই চিনে নিয়ন্ত্রণে চলে আসে করোনা সংক্রমণ। বিশ্বে যেখানে দৈনিক লক্ষাধিক মানুষের মৃত্যু হচ্ছিল, সেখানেই চিনে এক সপ্তাহেও একটি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু বছর ঘুরতেই রূপ বদলেছে করোনাও। বর্তমানে অতি সংক্রামক ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের দাপটে বিশ্বজুড়েই ফের সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে, বাদ পড়েনি চিনও।
বেজিংয়ে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ইতিমধ্যেই একাধিক জায়গায় লকডাউন জারি করা হয়েছে। নানজিংয়ের ৯২ লক্ষ বাসিন্দাদের তিনবার করে করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। সম্প্রতি যারা হুনান শহরের নানজিং বা জ়ানজিয়াজি থেকে এসেছেন, তাদের খোঁজ চালানো হচ্ছে।
হাইনান দ্বীপেও নতুন করে করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। নিংশিয়া ও শ্যানডংয়ের মতো পর্যটন কেন্দ্রগুলিতেও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। হেনান প্রদেশের জেংজাউ শহরে দুই হাসপাতাল কর্মীর থেকে ২৭ জন সংক্রমিত হওয়ার পরই শহরের ১ কোটি জনগণেরই করোনা পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।
টিকাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরাও করোনা আক্রান্ত হওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। তবে স্বাস্থ্য আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এটি অতি সাধারণ একটি বিষয়। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের প্রভাবে টিকার কার্যক্ষমতায় কিছুটা প্রভাব পড়লেও বর্তমানে যে ভ্যাকসিনগুলি রয়েছে, তার প্রত্যেকটিই সংক্রমণ রুখতে কার্যকরী। বেজিংয়ের স্বাস্থ্য কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী, শুক্রবার অবধি দেশে ১০.৬ কোটিরও বেশি মানুষ টিকা পেয়েছেন। তবে কত সংখ্যক মানুষ টিকার দুটি ডোজ়ই পেয়েছেন , সে সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি। আরও পড়ুুন: এয়ারস্ট্রাইকের জবাব দিতে কান্দাহার বিমানবন্দরে রকেট হামলা তালিবানিদের, বিপর্যস্ত উড়ান পরিষেবা