বেজিং: রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ (Russia-Ukraine War) নিয়ে দুই শিবিরে ভাগ হয়ে গিয়েছে গোটা বিশ্বই। একদিকে ইউক্রেনের পক্ষ নিয়ে আমেরিকা, ব্রিটেন ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ। অন্যদিকে, রাশিয়ার (Russia) পক্ষ নিয়েছে চিন (China)। ভারতের মতো কয়েকটি দেশ আবার নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রেখেছে। যুদ্ধের যখন প্রায় একমাস হতে চলল, সেই সময়ই আলোচনায় বসল আমেরিকা ও চিন। শুক্রবারই চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping) ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden) রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে নিজেদের মধ্যে কথা বলেন।
হোয়াইট হাউস (White House) সূত্রে জানানো হয়েছে প্রায় দেড় ঘণ্টা ফোনে কথা বলেন দুই শক্তিধর দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা। চিনের সরকার পরিচালিত সংবাদমাধ্যম সিসিটিভির তরফেও জানানো হয়েছে, ফোনালাপে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন যে, দুই দেশের মধ্যে অভ্যন্তরীণ সম্পর্ক কখনওই সামরিক আক্রমণের পর্যায়ে পৌঁছতে পারে না। আন্তর্জাতিক যাবতীয় দায়ভার যাতে চিন ও আমেরিকা গ্রহণ করেন, তার সপক্ষেও সওয়াল করেন জিনপিং। আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীতে শান্তি ও নিরাপত্তাই সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে জানান তিনি।
ইউক্রেনের উপরে বিনা প্ররোচনাতেই রাশিয়া সামরিক অভিযান শুরুর জন্য প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কোনও সমালোচনা করেছেন কিনা চিনা প্রেসিডেন্ট, সে সম্পর্কে জানতে পারা যায়নি। আমেরিকার মতো তারাও ক্রেমলিনের উপরে চাপ সৃষ্টি করতে চান কিনা, সে বিষয়েও স্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি।
গত বছরের নভেম্বর মাসের পর এই প্রথম ফোনে আলোচনা করলেন আমেরিকা ও চিনের প্রেসিডেন্ট। সূত্রের খবর, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চেয়েছিলেন, রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধে চিনকে নিজেদের দলে টানতে। বিপদের মুহূর্তে যাতে রাশিয়াকে তারা বাঁচানোর চেষ্টা না করেন, সেইটুকু বোঝাতে চেয়েছিলেন বাউডেন। এ প্রসঙ্গে শুক্রবারই ডেপুটি সেক্রেটারি অব স্টেট ওয়েন্ডি শেরম্যান বলেন, “চিনের উচিত আমেরিকা, ইউরোপ ও অন্যান্য উন্নত ও উন্নয়শীল দেশগুলির সঙ্গে ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তাভাবনা করা। আগামিদিনে ভ্লাদিমির পুতিনের পাশে কেউই দাঁড়াবে না।”
যদিও বেজিংয়ের তরফে এখনও অবধি রাশিয়ার কোনও সমালোচনাই করা হয়নি। আর এতেই আমেরিকার আরও উদ্বেগ বেড়েছে। তাদের আশঙ্কা, চিন গোপনে রাশিয়াকে আর্থিক ও সামরিক সাহায্য করতে পারে।