নিউইয়র্ক: আলোচনা চললেও আপাতত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia-Ukraine War) থামার ইঙ্গিত নেই। তবে গোলাগুলির মাঝেই ভয়-উদ্বেগ বাড়িয়েছে অন্য অস্ত্র। এই অস্ত্র ব্যবহার হলে এক নিমেষে প্রাণ হারাতে পারেন লক্ষাধিক মানুষ। যারা প্রাণে বাঁচবেন, তাদের পরবর্তী কয়েক প্রজন্মকেও ওই অস্ত্রের ফলে তৈরি প্রতিক্রিয়ার ফল ভুগতে হবে। রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধে যাতে জৈব ও বিষাক্ত অস্ত্র (Biological & Toxic Weapon) ব্যবহার না করা হয়, সেই আর্জিই জানাল ভারত (India)। শুক্রবার রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের (UNSC) বৈঠকে ভারতের তরফে বলা হয়, যুদ্ধে যাতে জৈব অস্ত্র ব্যবহার না হয়, তা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি।
শুক্রবারই রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে নিরস্ত্রকরণ বিষয়ক বিভাগের সেক্রেটারি জেনারেল ইজ়ুমি নাকামিৎসু ইউক্রেনে জৈব অস্ত্র সংক্রান্ত গতিবিধির কথা উল্লেখ করেন। সেই প্রসঙ্গেই ভারতের তরফে বলা হয়, “ভারত বৈষম্যহীন নিরস্ত্রকরণের ক্ষেত্রে জৈব ও বিষাক্ত অস্ত্রগুলিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে, কারণ এই শ্রেণির অস্ত্র বিশ্বজুড়ে ব্যাপক ধ্বংসলীলা চালাতে পারে।”
রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি আর রবীন্দ্র বলেন, “জৈব ও বিষাক্ত অস্ত্র যাতে ব্যবহার না হয়, তা নিশ্চিত করা ও পালন করা অত্যন্ত জরুরি।” দুই দেশের মধ্যে আলোচনার পর এই বিষয়টি নিয়ে আরও গভীরে ও বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা উচিত বলেও জানানো হয়।
ইউক্রেনের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করে ভারতের তরফে বলা হয়, “ইউক্রেনের ক্রমশ খারাপ হতে চলা পরিস্থিতি নিয়ে ভারত অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। আমরা রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলা কূটনৈতিক স্তরের আলোচনাকে স্বাগত জানাচ্ছি।”
দুই দেশের মধ্যে প্রায় বিগত এক মাস ধরে চলা যুদ্ধ সম্পর্কে বলা হয় যে, একমাত্র কূটনীতি ও আলোচনার মাধ্যমেই এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। রাষ্ট্রসঙ্ঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি টিএস তিরুমূর্তি বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি দ্রুত সংঘর্ষবিরতি ঘোষণা এবং আলোচনা ও কূটনীতিই এই সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে এগিয়ে যাওয়ার একমাত্র পথ। রাষ্ট্রসঙ্ঘের নীতি, আন্তর্জাতিক আইন ও দুই দেশের সার্বভৌমত্বকে মাথায় রেখেই নিজেদের মধ্যে আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে।”
আরও পড়ুন: Taliban on India: পাশে নেই পাকিস্তান! ভারতকেই পাশে পেতে চাইছে তালিবান