India-China: ‘আমি ভারতের বড় ভক্ত’, দাবি করলেন চিনা অফিসার
India-China: বুধবারই ভারতের চিনা রাষ্ট্রদূত সান ওয়েডং উল্লেখ করেছেন, ভারত ও চিন দুই দেশেরই একে অপরের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানো উচিত নয়।
বাংলাদেশ: ভারত আর চিনের সংঘাতের কথাই বারবার প্রকাশ্যে আসে। গালোয়ানের সংঘাতের পর লাদাখের পরিস্থিতি নিয়ে উত্তেজনা ছিল দীর্ঘদিন। আর এবার সেই চিনই ভারতের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। বাংলাদেশে চিনের এক কূটনীতিক দাবি করলেন, তিনি নাকি ব্যক্তিগতভাবে ভারতের বড় ভক্ত। বুধবার চিনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং জানান, চিন ও ভারত একযোগে কাজ করে সব সমস্যার সমাধান করতে পারে। অর্থনৈতিক, ভৌগলিক সমস্যার ক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গে কাজ করার বার্তা ও দিয়েছেন তিনি।
বুধবার বাংলাদেশে কূটনীতি সংক্রান্ত একটি আলোচনা চলাকালীন এমন দাবি করেছেন ওই কূটনীতিক। তাঁর দাবি, চিন কখনই ভারতে প্রতিযোগী বা প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বিবেচনা করেনি। তাঁর আরও দাবি, বঙ্গোপসাগর অস্ত্রে সাজানো থাকবে, এমন দৃশ্য দেখতে চায়নি চিন।
অন্যদিকে, বুধবারই ভারতের চিনা রাষ্ট্রদূত সান ওয়েডং উল্লেখ করেছেন, ভারত ও চিন দুই দেশেরই একে অপরের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানো উচিত নয়। মেয়াদ শেষ হওয়ায় বিদায়ী বার্তা দিতে গিয়ে তিনি উল্লেখ করেন, দুই দেশের উচিত আলোচনার মাধ্যমে সমস্য়ার সমাধান করা। তাঁর মতে, দুই দেশের মতপার্থক্য থাকা উচিত নয়। আর এদিনই বাংলাদেশের চিনা কূটনীতিকের মুখে শোনা গিয়েছে ভারত-প্রীতির কথা।
পরে বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের মুখোমুখিও হন ভারতের চিনা রাষ্ট্রদূত সান ওয়েডং। জয়শঙ্করও দুই দেশের সমস্যা সমাধানের কথা বলেন। তিনি মনে করেন, ভারত ও চিনের মধ্যে সমস্যা মিটে যাওয়ার ক্ষেত্রে আগ্রহী হবে বিশেষ অন্যান্য দেশও। তাঁর মতে, পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা, সংবেদনশীলতা বজায় রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় শান্তি বজায় না থাকলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কও স্বাভাবিক হবে না বলে মনে করেন তিনি।
উল্লেখ্য, ২০২০-তে গালোয়ান উপত্যকায় ভারত ও চিনের মধ্যে যে সংঘাত হয়, তার রেশ ছিল বহুদিন। দিনের পর দিন দুই দেশের মধ্যে আলোচনার পর অবশেষে একটু একটু করে সরছে সেনাবাহিনী।
