লন্ডন: গোটা বিশ্বের অর্থনীতি করোনার কালাজাদুতে যখন পর্যুদস্ত, চিনের অর্থনীতি তখন নতুন রেকর্ড তৈরির পথে পা বাড়াচ্ছে। আমেরিকাকে ছাপিয়ে ফুলে ফেঁপে উঠতে চলেছে চিনের ভাঁড়ার। ২০২৮ সালের মধ্যেই জিংপিংয়ের দেশ এই নয়া লক্ষ্যে পৌঁছে যাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। দ্য সেন্টার ফর ইকোনমিক্স অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চ তাদের বার্ষিক রিপোর্টে জানিয়েছে, কোভিড-১৯ চিনের সাফল্যের এই সম্ভাবনায় অনুঘটকের কাজ করবে।
গবেষকরা বলছেন, অতিমারি পরিস্থিতি অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে সামাল দিয়েছে চিন। প্রথম থেকে লকডাউনের কড়াকড়ি তাদের অর্থনীতির সুদূর প্রসারী পথকে ত্বরান্বিত করেছে। ২০২১-২৫ সালের মধ্যে চিনের গড় অর্থনীতির বৃদ্ধির লক্ষ্য যেখানে ৫.৭ শতাংশ, আমেরিকার ক্ষেত্রে সেখানে ২০২২ সাল থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে অর্থনৈতিক বৃদ্ধির গতি স্লথ হয়ে ১.৯ শতাংশ হতে পারে।
আরও পড়ুন: ক্লাস ফাইভ থেকে সিপিএম, এসএফআই করা ২১ বছরের আর্যাই দেশের সর্ব কনিষ্ঠ মেয়র
এই মুহূর্তে গোটা বিশ্বের কাছে হুমকির আরেক নাম কোভিড-১৯। প্রাণ নিয়েছে লক্ষ লক্ষ মানুষের। কঙ্কালসার চেহারা করেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অর্থনীতির। অথচ এই করোনার ‘আমদানি’ ‘রফতানি’ দুই-ই চিনের হাত ধরে। গত বছর ডিসেম্বরে প্রথম করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলেছিল চিনের উহান শহরে। সেখান থেকে বিশ্বের একাধিক দেশে হানা দেয় এই মারণ ভাইরাস। এখনও নাকানি চোবানি খাইয়ে ছাড়ছে দেশগুলিকে।
অথচ চিন কী সুন্দরভাবে উহানের মধ্যেই বেঁধে রেখে দিয়েছিল তাকে। কিছুদিন আগেই ঘোষণা করা হয়েছে, ড্রাগনের দেশ থেকে বিদায় নিয়েছে কোভিড-১৯। ঘুরে দাঁড়াচ্ছে তারা। অথচ আমেরিকা এখনও করোনায় কাবু। সে দেশের আর্থিক অবস্থা টলমল পায়ে এগোচ্ছে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এই সুযোগেই পাই পাই করে ছুটছে চিন। আর্থিক বৃদ্ধিতে আমেরিকাকে টেক্কা দিতে সব চ্যালেঞ্জকে মুঠোয় নিচ্ছে তারা।