বেজিং: করোনা আক্রান্ত (COVID-19 Positive) হয়েছেন একজন, এই খবর মিলতেই বন্ধ করে দেওয়া হল সমস্ত স্কুল (School), যাবতীয় গণপরিবহণ(Public Transportation)-ও স্থগিত করে দেওয়া হল। রাজ্যে পর্যটক প্রবেশের ক্ষেত্রেও জারি করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা, এমনকি বন্দর থেকে কার্গো জাহাজের যাতায়াতও আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে।
শুনতে অবাক লাগলেও বাস্তবেই ঘটেছে এই ঘটনা। চিন-ভিয়েতনামের সীমান্ত (China-Vietnam) লাগোয়া একটি শহরের এক স্থানীয় বাসিন্দা করোনা আক্রান্ত হতেই গোটা শহরে কার্যত লকডাউন (Lockdown) জারি করা হয়েছে। সমস্ত বাসিন্দাদের আপাতত বাড়িতেই থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিগত তিন মাস ধরে চিনের ছোট ছোট শহরে, যেখানে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো খুব একটা উন্নত নয়, সেখানে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশই বাইরে থেকে এসেছেন বা বিদেশ ফেরত অন্য কারোর সংস্পর্শে এসেছেন বলে জানা গিয়েছে। সংক্রমণ উর্ধ্বমুখী হতেই চিনা সরকারের তরফে সীমান্ত লাগোয়া শহরগুলিতে নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
চিনের গুয়ানশিং প্রদেশের ডংশিং শহরেও একইভাবে একজন করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলতেই গোটা প্রদেশের সমস্ত বাসিন্দাদের বাড়িতে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রায় দুই লক্ষ জনসংখ্যার এই শহরের সমস্ত বাসিন্দাদেরই বুধবার থেকে গৃহবন্দি থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং বিনা প্রয়োজনে বাড়ি থেকে বেরনোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, নিয়ম মাফিক পরীক্ষার সময়ই এক ব্যক্তির করোনা রিপোর্ট পজেটিভ আসে। সংক্রমণের উপসর্গও ওই ব্যক্তির মধ্যে দেখা গিয়েছে। বাইরে ভ্রমণের ইতিহাস না থাকায়, দেশের অভ্যন্তরেই কারোর থেকে ওই ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
সংক্রমণ ধরা পড়ার পরই গোটা শহরের যাবতীয় গণপরিবহন ব্যবস্থা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পর্যটন কেন্দ্র, সিনেমা হল সহ যাবতীয় বিনোদন কেন্দ্রগুলিও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্ডারগার্ডেন থেকে শুরু করে প্রাথমিক ও মাঝারি শ্রেণির যাবতীয় ক্লাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শহরের বন্দরেও মঙ্গলবার থেকেই আগত যাত্রীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। কার্গোগুলিও আপাতত শহরে ঢুকতে পারবে না বলেই জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে, চিনা সরকারের তরফে সমস্ত ভ্রমণ সংস্থাগুলিকে আপাতত সীমান্ত লাগোয়া বা বন্দর সংলগ্ন শহরগুলিতে আগামী ১৫ মার্চ অবধি পর্যটকদের নিয়ে যেতে বারণ করেছে।