কেপ টাউন: করোনা আক্রান্ত (COVID-19) এক রোগীর উপসর্গ বাকিদের থেকে আলাদা হওয়ায়, নমুনা পাঠানো হয়েছিল জিনোম সিকোয়েন্সিং(Genome Sequencing)-র জন্য। সেই রিপোর্টেই দেখা যায়, করোনার বাকি ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় এই ভ্যারিয়েন্টটি বেশ আলাদা। বি.১.১.২৫৯ নামক অতি সংক্রামক ওই ভ্যারিয়েন্টটিকেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা(World Health Organization)-র তরফে নাম দেওয়া হয় ওমিক্রন (Omicron)। দক্ষিণ আফ্রিকা(South Africa)-তেই প্রথম খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল ওমিক্রনে, ধীরে ধীরে বিশ্বের বাকি প্রান্তগুলিতেও ছড়িয়ে পড়েছে করোনার নতুন ভ্য়ারিয়েন্ট।
বর্তমানে বিশ্বে সর্বাধিক ওমিক্রন সংক্রমণ হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রিটেন ও ডেনমার্কেই। আমেরিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশও সংক্রমণের নিরিখে পিছিয়ে নেই খুব একটা। করোনার নতুন ভ্য়ারিয়েন্ট নিয়ে বিশেষ কোনও তথ্য এখনও জানতে না পারায়, নানা শঙ্কা তো রয়েইছে, তবে এর মাঝেও আশার আলো দেখা যাচ্ছে। ওমিক্রনের উৎসস্থল দক্ষিণ আফ্রিকাতেই ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে ওমিক্রন সংক্রমণ। মঙ্গলবার সে দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৮৫১৫ জন। রবিবারই আক্রান্তের সংখ্য়া ছিল ১৫,৪৬৫। গত সপ্তাহের সোমবার যেখানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৩.৯৯২, সেখানেই এই সপ্তাহে দৈনিক সংক্রমণ কমে দাঁড়িয়েছে ৮ হাজারে, অর্থাৎ এক সপ্তাহেই আক্রান্তের হার কমেছে ৪০ শতাংশ।
হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যাও হ্রাস পেয়েছে। এক সপ্তাহেই হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা প্রায় ২৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট ফর কমিউনিকেবল ডিজিজ (NICD) -র তথ্য অনুযায়ী, সংক্রমিত হওয়ার দুই বা তিন সপ্তাহ পর হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ও মৃত্যু হার বৃদ্ধি পায়। সেই হিসাবে বিগত এক সপ্তাহে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্য়া কেবল ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে গোটা দেশে ৬৩০ জনেরও বেশি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।