কলকাতা: সবক শিখিয়েছিল ভারতীয় সেনা। চিনের লালফৌজের সেই সেনা কর্মীকেই এবার বিশেষ সম্মান দিল চিনের সরকার। লালফৌজের ওই কমান্ডারকে সে দেশের জাতীয় উপদেষ্টা সংস্থা চাইনিজ পিপলস পলিটিক্যাল কনসালটেটিভ কনফারেন্স (সিপিপিসিসি) এর একজন বিশিষ্ট সদস্যও করা হয়েছে বলে খবর। ‘সিপিপিসিসি ডেইলি’-এর সূত্র ধরে গ্লোবাল টাইমস জানিয়েছে, রবিবার বেইজিংয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে কি ফাবাও নামে ওই সেনা কর্মীকে এই বিশেষ এই সম্মান দেওয়া হয়।
অসামান্য অবদানের জন্য ২০২৪ সালের সিপিপিসিসি সদস্যদের যে বিশেষ পুরষ্কারে ভূষিত করা হয়েছিল তার মধ্যে ছিলেন কিউ ফাবাও। ওই তালিকায় ছিলেন মোট ৩৩ জন। ২০২২ সালে, কিউকে শীতকালীন অলিম্পিকের জন্য মশালবাহক হিসাবেও মনোনীত করা হয়েছিল। আর ঠিক এই কারণে, ভারতীয় কূটনীতিকরা উদ্বোধনী এবং সমাপ্তির অনুষ্ঠান বয়কট করেছিলেন।
গ্লোবাল টাইমস বলছে, এর আগে কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশন ‘সীমান্ত রক্ষার জন্য হিরো রেজিমেন্টাল কমান্ডার’ উপাধিতে ভূষিত করেছিল কিউকে। ২০২১ সালে, তাকে চিনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি পদক প্রদান করে। একই সময়ে, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে, কিউকে বিশেষ অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণও জানানো হয়েছিল। এবার সিপিপিসিসির ১৪তম জাতীয় কমিটির সদস্যদের তালিকা ঘোষণার পর তিনি সিপিপিসিসির সদস্য হন। তা নিয়েই বিস্তর চর্চা সে দেশে।
এদিকে গালওয়ান সংঘর্ষের আট মাস পর চিন তার চার সৈন্যের মৃত্যুর কথা স্বীকার করে। আর এ নিয়ে শুরু থেকে চাপানউতোরের অন্ত ছিল না। রক্ষক্ষয়ী সংঘর্ষে প্রাণ গিয়েছিল ২০ ভারত সেনা জওয়ানের। চার দশকের মধ্যে এটিই ছিল ভারত-চিন সীমান্তে দুই দেশের সেনার মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ। এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের। যদিও ওই সংঘর্ষের পরই ভারত মৃত সেনার সংখ্যা জানিয়ে দেয়। কিন্তু, চুপ করে বসেছিল চিন। আন্তর্জাতিক মহলে বিস্তর চাপানউতোর হলেও মুখে কিছুই বলেনি।