CM Mamata Banerjee in London: ‘কলকাতা-লন্ডন উড়ান চাই’, বিলেতের মাটিতে আর্জি মমতার

অবন্তিকা প্রামাণিক | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Mar 25, 2025 | 6:54 AM

CM Mamata Banerjee in London: মমতা বলেন, "আমাদের পড়ুয়ারা খুব মেধাবী। যাঁরাই আসে ভারত থেকে এখানে পড়তে প্রত্যেকেই মেধাবী। সিস্টার নিবেদিতা বাংলার জন্য কাজ করেছেন। নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন মানুষের সেবায়। তিনি দার্জিলিংয়ে মারা গিয়েছেন।"

CM Mamata Banerjee in London: কলকাতা-লন্ডন উড়ান চাই, বিলেতের মাটিতে আর্জি মমতার
লন্ডনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
Image Credit source: Mamata Banerjee's Facebook

Follow Us

লন্ডন: লন্ডনে ভারতীয় দূতাবাসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানাল ভারতীয় দূতাবাস। সেখানকার বিশেষ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থও। সেই অনুষ্ঠান থেকে কী বললেন মমতা?

সর্বশেষ তথ্য উপরে

  1. মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: বাংলা কিন্তু লন্ডন থেকে বেশি দূরে নয়। আমরা একটা সরাসরি বিমান যোগাযোগ ব্য়বস্থা চাই। UK এবং ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের কাছে আমার অনুরোধ একটা সরাসরি বিমান চাই। আমার এখানে আসতে ১৮ ঘণ্টা সময় লেগেছে। পুরো বিষয়টা হজপজ হয়ে গিয়েছিল।
  2. মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: দুর্গাপুজোর সময় UK-তে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। আপনারা বাংলা থেকে সব পাবেন। এখানে ডোকরা শিল্প থেকে সব শিল্পের জন্য কঠোর পরিশ্রম করা হয়। এখানে দক্ষ কর্মী পাওয়া যায়। ইতিমধ্যে ৪৭ লক্ষ প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। ১০ লক্ষ ইতিমধ্যে কাজ করছেন। যদি কোনও ব্যবসায়ী দক্ষ কর্মী চান আমাদের কাছে সেই পর্যাপ্ত কর্মীর জোগান রয়েছে। একটা ওয়েবসাইটে ক্লিক করলেই তাঁরা পেয়ে যাবেন।
  3. মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: কলকাতা এখন AI হাব, এখানে ডেটা রিসার্জ সেন্টার আছে। দ্বিতীয় বৃহত্তম কয়লা উৎপাদন কেন্দ্র আছে বাংলায়। ভারত সরকার জানিয়েছে, দেশের মধ্যে বাংলায় নারী অন্ত্রোপ্রনর (উদ্যোগপতি) সব থেকে বেশি। এখন বাংলা বিনোদন-শিক্ষা-প্রযুক্তি-সংস্কৃতি-মেডিক্যাল হাব
  4. মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়কে আমি জমি দিয়েছি। আন্তর্জাতিক স্তরে তাঁরা ছাত্র পাঠায়। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ও অনেক বড় মাপের। ৫০০ পলিটেকনিক কলেজ আছে। বাংলা এখন শিক্ষার হাবও।
  5. মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: আমরা ইকোপার্কে গোটা বিশ্বের অষ্টম আশ্চর্য তৈরি করেছি। এই ইকোপার্কে আপনারা গোটা বিশ্ব দেখতে পাবেন। ওই ওয়াক্স মিউজিয়াম। নাম দেওয়া হয়েছে মাদার টেরিজার নামে। মাদার টেরিজাও কলকাতার জন্য কাজ করেছেন। আমি ভাগ্যবান মাদার টেরিজা যখন সমস্যায় পড়তেন তখন আমার সঙ্গে কথা বলতেন। আমি সাহায্য করেছি তাঁকে। সেই সময় যদিও আমাদের সরকার ক্ষমতায় ছিল না। ভার্টিকান সিটি সেই কারণে মাদারের অনুষ্ঠানে ইনভাইট করে।
  6. মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: আমাদের পড়ুয়ারা খুব মেধাবী। যাঁরাই আসে ভারত থেকে এখানে পড়তে প্রত্যেকেই মেধাবী। সিস্টার নিবেদিতা বাংলার জন্য কাজ করেছেন। নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন মানুষের সেবায়। তিনি দার্জিলিংয়ে মারা গিয়েছেন। যেই বাড়িতে তিনি মারা যান সেটা একটি এনজিও-র হাতে চলে যায়। সেই বাড়িটিতে আমি গিয়েছি। তারপর সেটি কিনেছি ভারত সরকারের কাছ থেকে।
  7. মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: বিজিবিএস ভাল ফলাফল দিয়েছে। আমি সকল সহযোগী দেশ বিশেষ করে UK-কে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আপানারা আমাদের অনেক সহযোগিতা করেছেন। আর আপনারা জানলে খুশি হবেন, দেশের মধ্যে স্কিল ইন্ডাস্ট্রিতে বাংলাই প্রথমে।
  8. মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: আমরা প্রতি ধর্মকে সমানভাবে শ্রদ্ধা করি। আমি ইউরোপে দেখলাম এখানে খ্রিষ্টানরা তাঁদের ধর্ম পালন করছেন। এটা আমরা কলকাতাতেও করি। গুরুনানকের জন্মদিন থেকে জৈনের জন্মদিন সব পালন করি। স্বাধীনতার আগে হোক বা পরে আমরা সব ধর্মকে সমান চোখে দেখি। দেশ স্বাধীনের আগে কলকাতা ছিল রাজধানী। এখন কলকাতা হল বাণিজ্যের হাব, খেলার হাব, কালচারালার হাব। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ভারতীয় ক্রিকেটকে অনেক উচ্চ-স্থানে নিয়ে গিয়েছেন। আপনারা সব পাবেন বাংলা থেকে।
  9. মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: আমরা গর্বিত আমরা ভারতীয়। এখানে বৈচিত্রের মধ্যে রয়েছে ঐক্য। একাধিক রাজ্য আছে। কিন্তু তাঁদের কারও সঙ্গে কারও তুলনা করতে পারবেন না। কেউ হয়ত বড়লোক। কেউ আবার গরিব। কেউ হয়ত বড় কেউ ছোট।
  10. মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: আমি মনে করি না একা কেউ উন্নয়ন করতে পারে। আমি সকলকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।