CM Mamata Banerjee: ‘বাংলায় বেকারত্ব ৪৬ শতাংশ কমেছে, এটা বড় সাফল্য নয়?’, লন্ডনে বললেন মমতা

Mar 25, 2025 | 10:33 PM

CM Mamata Banerjee: সেখানকার বিশেষ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থও। আজ শিল্প বৈঠক থেকে কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী? জেনে নিন এক নজরে...

CM Mamata Banerjee: বাংলায় বেকারত্ব ৪৬ শতাংশ কমেছে, এটা বড় সাফল্য নয়?, লন্ডনে বললেন মমতা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মুখ্যমন্ত্রী
Image Credit source: Facebook

Follow Us

লন্ডন: লন্ডনে শিল্প বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার তিনি ভারতীয় দূতাবাসে উপস্থিত হয়েছিলেন। সেখানকার বিশেষ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থও। আজ শিল্প বৈঠক থেকে কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী? জেনে নিন এক নজরে…

সর্বশেষ তথ্য উপরে

  1. মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: আমাদের এখানে জঙ্গল-পাহাড়-সমুদ্র সব আছে। আপনারা নিশ্চয়ই রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের কথা শুনেছেন। আমরা সেই রয়্যাল বেঙ্গলের মতোই লড়ছি।
  2. মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: আমি দুবারের রেলমন্ত্রী ছিলাম। সাত বারের সাংসদ। এখন তিনবারের বিধায়ক। আমরা যেখানে সংসদে ৩৩ শতাংশ মহিলাদের সংরক্ষণের  জন্য আলোচনা করি। সেই সময় আমার দলে ৩৯ শতাংশ মহিলা নির্বাচিত সাংসদ।
  3. মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: আমাদের পর্যটন খুব উন্নত। কারণ, আমাদের এখানে তিনটি বিষয় আছে। দার্জিলিং, কালিম্পং, মিরিক। এখান থেকে সর্যোদয় দেখা যায়। ভিটামিন-ডি ও পাবেন। উত্তরবঙ্গে অনেক জঙ্গল পাবেন। হোম-স্টে আছে। আমাদের সমুদ্র আছে।
  4. মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: আমাদের স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প আছে। অনেক কম খরচে গরিব মানুষ চিকিৎসা করান। এখন বাইরে থেকে অনেক মানুষ আসেন এখানে ডাক্তার দেখাতে। এর আগে ১২ মেডিক্যাল কলেজ ছিল। আর এখন ৩৮ মেডিক্যাল কলেজ। ৩২ মাল্টি সুপার হাসপাতাল আছে।
  5. মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: আমাদের শহরে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলে একসঙ্গে থাকেন। এখানে সব উৎসব সমান ভাবে পালিত হয়। বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য বজায় থাকে।
  6. মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: আমাদের সব আছে। কিন্তু বাংলার গৌরব নষ্ট হয়েছে আমাদের আগের সরকারের জন্য। আগে লোডশেডিংয়ের সমস্যা হত। এখন সেটা হয় না। আর দেউচা পচামির কয়লা উত্তোলন শুরু হলে আগামী ১০০ বছর কোনও বিদ্যুতের সমস্যা হবে না। বিদ্যুতের খরচা কমবে।
  7. মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: আমরা ৬টি ইকোনমিক করিডর তৈরি করছি। ইন্ডাস্ট্রিয়াল করিডর হচ্ছে। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কয়লা উত্তোলন শিল্প তৈরি হচ্ছে বীরভূমে। জায়গার নাম দেউচা পচামি। এখানেও বিনিয়োগ করা যেতে পারে। এখানে প্রচুর কর্মসংস্থান হবে।
  8. মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: দারিদ্র সীমার নিচে থাকা মানুষদের সকলকে আমরা খাবার তুলে দিয়েছি। ২০১১ সালে বাংলায় দারিদ্র সীমার নিচে ৫৭.৬০ শতাংশ মানুষ বসবাস করতেন। এখন এই শতাংশ হল ৮.৬০ শতাংশ। আপনারা বাংলায় বিনিয়োগ করলে লাভবান হবেন। ক্ষতির মুখ দেখতে হবে না।
  9. মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: সব জায়গায় বেকারত্ব বাড়ছে। সব ক্ষেত্রে বাংলার বেকারত্ব কমেছে ৪৬ শতাংশ। এটা বড় সাফল্য নয়? ২০১৭-২০১৮ থেকে ২০২৩-২০২৪ সালের মধ্যে আমরা আমাদের বেকারত্ব ৪৬ শতাংশে কমিয়ে এনেছি।
  10. মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: আমরা এগিয়ে রয়েছি সামাজিক প্রকল্পে। আমাদের ৯৪টা সামাজিক প্রকল্প আছে বাংলায়। আমরা পড়ুয়া থেকে কৃষক, মহিলা সকলকেই সাহায্য করি। এটা মোটেই সহজ নয় করোনার পর। আমাদের এই প্রকল্প বাড়ছে ক্রমাগত।
  11. মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: আপনারা কেন বাংলাকে বাছাই করবেন? বাংলার আর্থিক সচ্ছ্বলতা ভাল। সেই কারণে এখানে মানসিক স্বাস্থ্যও খুব উন্নত। টেনশন নেই। বাংলার জিডিপি বেড়েছে ৬.৮০ শতাংশ। গোটা ভারতে জিডিপি সেখানে ৬.৩৭ শতাংশ।
  12. মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: ইউকে-র বন্ধুদের বলব আপনারা আমাদের একটা সরাসরি যাতায়াতের জন্য বিমান দিতে পারেন। আগে সরাসরি বিমান ছিল। আমি আপনাদের আশ্বস্ত করছি, বিমানের সব সিট ভরা থাকবে। যে সংস্থা সরাসরি বিমান পরিষেবা চালু করবে, তাদের আমরা অতিরিক্ত সুবিধা দেব। ফুয়েল ট্যাক্স ফ্রি অ্যাডভানটেজ। লন্ডন আসতে ১৮ ঘণ্টা লাগে। সরাসরি এলে ৮ ঘণ্টা মোটে। এখানে আসতে ভাবুন কত কষ্ট হয়। পরিবহণ ব্যবস্থা খুব অনুন্নত। বাংলার সমস্ত মানুষের হয়ে এই আবেদন করছি।
  13. মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: আমাদের ভারতীয় রাষ্ট্রদূত খুবই সজ্জন ব্যক্তি। তিনি শিক্ষা-স্বাস্থ্যের বিষয়ে কথা বলেছেন। আমি
  14. মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: মোহনবাগান,ইস্ট বেঙ্গল, মহামেডান সকল ক্লাব ফুটবল খেলে। আমি গর্বিত তাদের জন্য।
  15. মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: আমাদের ছাত্ররা এখানে এসে পড়াশোনা করতে ভালবাসে। আমাদের বাংলার ব্রান্ড অ্যাম্বাসেডর সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। উনি ক্যাপ্টেন থাকার সময় আমরা অনেক কাপ জিতেছি। বাংলার সকলেই ফুটবল-ক্রিকেট ভালবাসে। বাংলায় ম্যাঞ্চেস্টার সিটি স্কুল খুলছে সত্যম,ঋষি এবং অন্যান্য সংস্থায় সঙ্গে মিলে কলকাতায় স্পোর্টস স্কুল খুলছে।
  16. মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: আমি ইউকে ভালবাসি। কারণ আমাদের সঙ্গে ইতিহাসের যোগ আছে। দীর্ঘদিন আপনারা ভারতে শাসন করেছেন। সেই সময় কলকাতা ভারতের রাজধানী ছিল। সেই সময় আপনারা অনেক ঐতিহাসিক ভবন স্থাপন করেছেন। আমরা প্রতিদিন সেইটাই মনে করি।