নয়া দিল্লি: আন্দোলনে উত্তাল বাংলাদেশ। সংরক্ষণ নিয়ে আন্দোলনের জেরে বুধবার রাজধানী ঢাকার পাশাপাশি বরিশাল, সিলেট এবং কুমিল্লা থেকেও অশান্তির খবর এসেছে। সংঘর্ষ ঠেকাতে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-সহ দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি। আজ, বৃহস্পতিবার জরুরি পরিষেবা ছাড়া সবকিছু বন্ধ থাকছে বাংলাদেশে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে বসবাসকারী ভারতীয়দের সতর্ক করা হল। ভারতীয় দূতাবাসের তরফ থেকে
নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে বসবাসকারী ভারতীয়রা যাতে বাড়ির বাইরে না বেরন, তেমনই নির্দেশ দিয়েছে ভারতীয় হাই কমিশনারের। যে কোনও প্রয়োজনে ভারতীয় হাই কমিশনারের সঙ্গে যোগাযোগ করার কথা বলা হয়েছে। ভারতীয় পড়ুয়াদেরও সাবধানে থাকার বার্তা দেওয়া হয়েছে।
বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাস খালি করতে গিয়ে আন্দোলনকারীদের বাধার মুখে পড়ে পুলিশ। সেখানে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। পুলিশ কাঁদানে গ্যাস এবং ‘সাউন্ড গ্রেনেড’ ব্যবহার করে সেখানে। অন্যদিকে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় তিন আন্দোলনকারীকে।
বাংলাদেশের ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজর্ষি, সিলেট, খুলনার জন্য বিশেষ হেল্পলাইন নম্বর প্রকাশ করেছে হাই কমিশন। হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে যাতে ভারতীয়রা যোগাযোগ করতে পারে, সেই ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। শেখ হাসিনা সরকারের ওপর চাপ দেওয়ার জন্য আজ থেকে কার্যত বনধ ঘোষণা করেছে আন্দোলনকারীরা।
গত পুলিশ ও ক্ষমতাসীন আওয়ামি লিগের ছাত্র সংগঠন, ছাত্রলীগের হামলা গুলিতে মঙ্গলবারই নিহত হন ৬ আন্দোলনরত ছাত্র। বুধবার থেকে বন্ধ করে দিতে হয়েছে বাংলাদেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এরপর এদিন জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ন্যায়বিচারের আশ্বাস দিয়েছেন হাসিনা।