COVID-19: গলা ব্যাথা, নাক থেকে জল পড়ছে? সাবধান, আক্রান্ত হতে পারেন করোনার নতুন ভ্য়ারিয়েন্টে

Eris Variant: ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট থেকেই বুৎপত্তি এই মারণ ভ্য়ারিয়েন্টের। গত মাসেই ব্রিটেনে প্রথম এই ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ পাওয়া যায়।

COVID-19: গলা ব্যাথা, নাক থেকে জল পড়ছে? সাবধান, আক্রান্ত হতে পারেন করোনার নতুন ভ্য়ারিয়েন্টে
প্রতীকী চিত্রImage Credit source: Pixabay

| Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Aug 07, 2023 | 6:14 AM

লন্ডন: ২০২০ সালে বিশ্ববাসীর চোখের ঘুম কেড়েছিল করোনা সংক্রমণ (COVID-19)। দুই বছর সেই সংক্রমণের রেশ ছিল। বিশ্বের কয়েক কোটি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, লক্ষাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন সংক্রমণে। ২০২৩ সালের গোড়া থেকেই নিম্নমুখী হয় করোনার গ্রাফ। সম্প্রতিই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (World Health Organization) প্রধান টেড্রোস আধানম গ্রেবিয়াসিস জানিয়েছিলেন, করোনার শেষের শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রাণঘাতী এই সংক্রমণ নিয়ে চিন্তা কমতে শুরু করেছিল সবে, এরই মধ্যে আবার নতুন করে উদ্বেগ করোনা নিয়েই। এবার চিন্তা বাড়াচ্ছে করোনার আরও একটি নতুন ভ্যারিয়েন্ট(New Variant of COVID-19)। ব্রিটেনে (Britain) হু হু করে ছড়িয়ে পড়ছে এই সংক্রমণ, যা নিয়ে উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও।

ব্রিটেনের হেলথ সিকিউরিটি এজেন্সির তরফে জানানো হয়েছে, করোনার ইজি.৫.১ ভ্যারিয়েন্ট, যা এরিস (Eris) নামে পরিচিত, তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। ওমিক্রন (Omicron) ভ্যারিয়েন্ট থেকেই বুৎপত্তি এই মারণ ভ্য়ারিয়েন্টের। গত মাসেই ব্রিটেনে প্রথম এই ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ পাওয়া যায়। তাদের দাবি, আন্তর্জাতিকভাবেও এই সংক্রমণ ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে, বিশেষ করে এশিয়ায়। ব্রিটেনে জিনোম সংক্রান্ত তথ্যে এই ভ্যারিয়েন্টের উদ্বেগজনক বৃদ্ধি লক্ষ্য করার পরই সতর্ক করা হয়। বর্তমানে ব্রিটেনে প্রতি সাতজন করোনা আক্রান্তের মধ্যে একজন এরিস ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমিত হচ্ছেন বলেই জানানো হয়েছে।

৩ অগস্টের রিপোর্টে ব্রিটেন স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, দেশে ক্রমাগত সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ৪৩৯৬টি নমুনার মধ্যে ৫.৪ শতাংশই করোনায় আক্রান্ত বলে জানা গিয়েছে। এক মাস আগেই এই সংখ্যাটি ছিল ৪৪০৩টি নমুনার মধ্যে ৩.৭ শতাংশ করোনায় আক্রান্ত।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, করোনার এরিস ভ্যারিয়েন্টের প্রধান পাঁচ উপসর্গ হল-

  • নাক থেকে জল পড়া
  • মাথা ব্যাথা
  • হাঁচি
  • গলা ব্যাথা 
  • ক্লান্তিভাব

দ্রুত এই সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে, ফলে হাসপাতালে করোনা রোগীর ভিড়ও বাড়ছে। গোটা পরিস্থিতির উপরই কড়া নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য় আধিকারিকরা।

অন্যদিকে, বিশ্ব স্বাস্থ্য় সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম গ্রেবেয়াসিস জানান, সাধারণ মানুষ বর্তমানে পূর্ববর্তী করোনা সংক্রমণ ও করোনা ভ্যাকসিনের কারণে সুরক্ষিত হলেও, সতর্কতায় কোনও খামতি রাখা উচিত নয়।