ঢাকা: নতুন বছরের শুরু থেকেই বাংলাদেশে নাগাড়ে বাড়বে করোনা (COVID) আক্রান্তর সংখ্যা। এরকমই আশঙ্কার কথা শোনালেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, জানুয়ারির শেষে বা ফেব্রুয়ারির শুরুতে সর্বোচ্চ সংক্রমণ হবে বাংলাদেশে। মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়াতে পারে ১৭ হাজারও। তবে তাঁরা এ-ও জানিয়েছেন, সঠিক পদক্ষেপ করলে রোখা যেতে পারে করোনার বাড়বাড়ন্ত।
বিশেষজ্ঞ দল ইতিমধ্যেই একথা স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীদের জানিয়েছেন। ওই বিশেষজ্ঞ দলে রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ আবদুল হামিদ ও শাফিউন সিমুল। এছাড়াও রয়েছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের নুসরাত জেবিন-সহ আরও ২ জন। তবে সে দেশের সরকারি হিসাব অনুযায়ী, নভেম্বরের শুরুর দিকে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করলেও ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে কমছে। জনস্বাস্থ্যবিদদের মতে পরীক্ষাকেন্দ্র বাড়লেও বাড়েনি আক্রান্তর সংখ্যা।
তবে ভিন্ন সুর বিশেষজ্ঞ দলের মুখে। তাঁদের মতে, দৈনিক যে পরিমাণে করোনা পরীক্ষা হওয়া উচিত তা একদিনও হয়নি। তাই তাদের আশঙ্কা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছতে পারে জানুয়ারির শেষে বা ফেব্রুয়ারির শুরুতে। বাংলাদেশে এপর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৫ লক্ষ ৮ হাজার ৯৯ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪ লক্ষ ৫০ হাজার ৪৮৮ জন। প্রাণ হারিয়েছেন ৭ হাজার ৪২৮ জন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আবহে হামলা! মধ্য আফ্রিকায় নিহত রাষ্ট্রসঙ্ঘের ৩ শান্তিরক্ষী
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশেও ধরা পড়েছে করোনার নয়া ‘স্ট্রেন।’ যার সঙ্গে মিল রয়েছে ব্রিটেনের ‘সুপার স্প্রেডারের।’ নতুন ‘স্ট্রেন’-এ যে দুটি সক্রিয় অ্যামাইনো অ্যাসিড পাওয়া গিয়েছে, তা হল ‘পি৬৮১আর’ ও ‘ডি১১৮আর।’ গবেষকরা জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসে মোট ২৮ টি প্রোটিন থাকে। প্রত্যেকটি স্পাইক প্রোটিনে ১,২৭৪ টি অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকে। আগে এর মধ্যে ‘ডি৬১৪জি’ নম্বর অ্যামাইনো অ্যাসিড সক্রিয় ছিল। এখন নতুন আরও দু’টি অ্যামাইনো অ্যাসিড সক্রিয় হয়েছে।