বেজিং : বছর দুয়েক আগে চিনে (China) যখন করোনা (Covid 19) প্রথম থাবা বসিয়েছিল তখন সে দেশে লকডাউনের (Lockdown) ছবি দেখা গিয়েছিল। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে মানুষকে গৃহবন্দি করে রাখতে শুরু করেছিল চিন। পরবর্তীতে বিশ্বের বেশির ভাগ দেশই লকডাউনের অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। তবে চিনে সংক্রমণ অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণে আসায় ক্রমশ ছন্দে ফিরছিল জীবন। কিন্তু, বেশ কিছুদিন ধরেই করোনা পরিস্থিতি নতুন করে অবনতির দিকে যাচ্ছে। আর এবার সংক্রমণের ছায়া পড়ল খাস চিনের রাজধানী বেজিং-এ। আবারও মানুষকে গৃহবন্দি করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে সেখানে।
সম্প্রতি, করোনা নতুন করে চোখ রাঙানোয় বেজিং-এর শপিং মল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রাজধানী জুড়ে জারি হয়েছে হাই অ্যালার্ট। বেজিং-এর একেবারে কেন্দ্রস্থলে চাওয়াং ও হাইদিয়ানে বৃহস্পতিবার নতুন ৬ করোনা আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। এরপরই নতুন করে তৎপরতা শুরু হয়েছে। ডোংচেং-এক রাফল সিটি মল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এক করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি ওই মলে এসেছিলেন, এমন খবর সামনে আসার পরই মল বন্ধ করে দেওয়া হয়। সব ক্রেতা ও কর্মীদের করোনা পরীক্ষা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বেজিং-এক স্বাস্থ্য কর্তারা জানিয়েছেন, শুধুমাত্র চাওয়াং ও হাইদিয়ানে ১২ হাজার মানুষের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে সম্প্রতি। এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বেশ বড় অংশ জুড়ে ছড়িয়েছে করোনার জাল। তাই সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে উঠেছে। একাধিক আবাসন সিল করে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বহু স্কুল-অফিস।
করোনার এই নতুন করে সংক্রমণ ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের কারণেই হচ্ছে বলে মনে করছেন সে দেশের স্বাস্থ্য কর্তারা। এক স্বাস্থ্য আধিকারিকরা জানিয়েছেন, আগামিদিনে সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে। ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে করোনা পরীক্ষার হার বাড়ানো হয়েছে। মনে করা হচ্ছে একদল স্থানীয় পর্যটকের মাধ্যমেই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। উত্তর চিনেও প্রায় ১০ হাজার মানুষকে গৃহবন্দি থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আগেই। বাড়তে থাকা উদ্বেগের মধ্যে চিনের একাধিক প্রদেশে গণ হারে করোনা পরীক্ষা করানো শুরু হয়েছে।
শুধু চিন নয়, উদ্বেগ বেড়েছে ফ্রান্সেও। সেথানে করোনা মহামারীর পঞ্চম ঢেউ শুরু হয়ে গিয়েছে। সে দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী অলিভার ভেরন এই ব্যাপারে জানাতে গিয়ে বলেছেন, এর ফলে সেই মানুষদের জন্য নতুন দুশ্চিন্তা শুরু হয়ে গিয়েছে, যাদের আশা ছিল সংক্রমণ শেষ হচ্ছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, তাঁদের দেশেও বেশ কিছু পড়শি দেশের মতো মহামারীর পঞ্চম ঢেউ শুরু হয়ে গিয়েছে। তিনি বলেন, ভাইরাস দ্রুতগতিতে বাড়ছে। ফ্রান্সের স্বাস্থ্য মন্ত্রক বুধবার কোভিড-১৯ এর ১১,৮৮৩টি নতুন সংক্রমণ নথিভুক্ত করেছে। অক্টোবরের মাঝের সপ্তাহের পর থেকে সংক্রমণ লাগাতার বাড়ছে।
আরও পড়ুন : Illegal Chinese Occupation: ইচ্ছামতো গ্রাম বানানো! চিনকে কড়া দাওয়াই ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের