বেইরুট: বৃহস্পতিবার জঙ্গি সংগঠন আইএস (ISIS) অধ্যুষিত সিরিয়াতে হামালা চালিয়েছিল মার্কিন সেনার স্পেশ্যাল ফোর্স (US Special Forces)। মার্কিন হামালায় নিহত হয়েছেন আইএস জঙ্গি সংগঠনের প্রধান ইব্রাহিম আল হাশিমি আল কুরেশি। ওয়াশিংটনের তরফে এই জঙ্গি অভিযানকে নিজেদের সাফল্য হিসেবে তুলে ধরলেও অনেকেই বলেন, মার্কিন বাহিনীর হাতে ধরা পড়ার আগেই বোমা দিয়ে নিজেকে উড়িয়ে দিয়েছিল আল কুরেশি। কুখ্যাত এই আইএস জঙ্গি ‘বিনাশকারী’ নামেই পরিচিত। আইএসের নেতৃত্বে আসার আগে ইয়াজিদিদের গণহত্যার নেতৃত্বে ছিলেন এই জঙ্গি। ইব্রাহিম আল হাশিমি আল কুরেশি, আমির মোহাম্মদ সাইদ আবদ আল রহমান আল মাওলা নামেও পরিচিত ছিলেন। ২০১৯ সালে মার্কিন হানায় আইসিস প্রধান আবু আল বখর বাগদাদির হত্যা পর জিহাদী সংগঠনের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন ইরাকের এই প্রাক্তন অফিসার। জানা গিয়েছে, কুরেশি সব সময়ই ‘লো প্রোফাইল’ বজায় রেখে চললেও নৃশংসতায় তিনি খড়্গহস্ত ছিলেন। এদিনের এই মার্কিন অভিযানের আগেই ইরাকি ও মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার নজর এড়িয়েই তিনি জঙ্গি সংগঠন পরিচালনা করছিলেন।
ইরাক ও সিরিয়াতে ত্রাস ছিল আইসিস। বিগত বেশ কিছু বছরে সিরিয়া ও উত্তর ইরাকে তাঁদের স্বঘোষিত “খিলাফত” হারানো ও মার্কিন অভিযানের কারণে তাঁরা সকলেই দুর্বল হয়ে পড়েছিল। কুরেশি উত্তর ইরাকের তাল আফার শহরে একটি তুর্কমেন পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ৪০ বছর বয়সে তিনি জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলেন। সাদ্দাম হুসেন নেতৃত্বাধীন ইরাকি সেনার আধিকারিক ছিলেন কুরেশি। ২০০৩ সালে মার্কিন অভিযানে সাদ্দাম হুসেন ধরা পড়ার পর জঙ্গি সংগঠন আল কায়দাতে যোগ দিয়েছিলেন কুরেশি। ২০০৪ সালে মার্কিন বাহিনীর হাতে ধরা পড়ার পর তাঁকে ইরাকের কুখ্যাত কারাগারে বন্দি করা হয়। সেখানেই বাগদাদি ও আইসিস শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়েছিল।
বরাবরই তিনি বাগাদাদির বিশ্বাসী ছিলেন। ২০১০ সালে আল কায়দার ইরাকি শাখার দায়িত্ব ছিলেন তিনি। এরপরে প্রথমে ইসলামিক স্টেট অব ইরাক এবং পরবর্তীকালে ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড সিরিয়ার জন্য আল কায়দা থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি। জঙ্গি সংগঠনে অনেকেই তাকে ‘প্রফেসর’ নামে সম্বোধন করে। নৃশংসতায় তিনি ছিলেন পারদর্শী। আইসিসের হয়ে নৃশংস নীতি নির্ধারণের প্রধান দায়িত্বও তাঁর কাঁধেই ছিল। সংগঠনে কেউ বাগদাদির বিরোধিতা করলে তাঁকে খতম করে দেওয়ার পক্ষপাতীই ছিলেন কুরেশি। বৃহস্পতিবার তাঁর মৃত্যুতে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
** বাঙালিয়ানার চর্চায় বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়, তন্ময় বোস, অজয় চক্রবর্তী
** বাঙালিয়ানার চর্চায় অতিথি শমীক বন্দ্যোপাধ্যায়, সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়, তেজেন্দ্রনারায়ণ মজুমদার
বেইরুট: বৃহস্পতিবার জঙ্গি সংগঠন আইএস (ISIS) অধ্যুষিত সিরিয়াতে হামালা চালিয়েছিল মার্কিন সেনার স্পেশ্যাল ফোর্স (US Special Forces)। মার্কিন হামালায় নিহত হয়েছেন আইএস জঙ্গি সংগঠনের প্রধান ইব্রাহিম আল হাশিমি আল কুরেশি। ওয়াশিংটনের তরফে এই জঙ্গি অভিযানকে নিজেদের সাফল্য হিসেবে তুলে ধরলেও অনেকেই বলেন, মার্কিন বাহিনীর হাতে ধরা পড়ার আগেই বোমা দিয়ে নিজেকে উড়িয়ে দিয়েছিল আল কুরেশি। কুখ্যাত এই আইএস জঙ্গি ‘বিনাশকারী’ নামেই পরিচিত। আইএসের নেতৃত্বে আসার আগে ইয়াজিদিদের গণহত্যার নেতৃত্বে ছিলেন এই জঙ্গি। ইব্রাহিম আল হাশিমি আল কুরেশি, আমির মোহাম্মদ সাইদ আবদ আল রহমান আল মাওলা নামেও পরিচিত ছিলেন। ২০১৯ সালে মার্কিন হানায় আইসিস প্রধান আবু আল বখর বাগদাদির হত্যা পর জিহাদী সংগঠনের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন ইরাকের এই প্রাক্তন অফিসার। জানা গিয়েছে, কুরেশি সব সময়ই ‘লো প্রোফাইল’ বজায় রেখে চললেও নৃশংসতায় তিনি খড়্গহস্ত ছিলেন। এদিনের এই মার্কিন অভিযানের আগেই ইরাকি ও মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার নজর এড়িয়েই তিনি জঙ্গি সংগঠন পরিচালনা করছিলেন।
ইরাক ও সিরিয়াতে ত্রাস ছিল আইসিস। বিগত বেশ কিছু বছরে সিরিয়া ও উত্তর ইরাকে তাঁদের স্বঘোষিত “খিলাফত” হারানো ও মার্কিন অভিযানের কারণে তাঁরা সকলেই দুর্বল হয়ে পড়েছিল। কুরেশি উত্তর ইরাকের তাল আফার শহরে একটি তুর্কমেন পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ৪০ বছর বয়সে তিনি জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলেন। সাদ্দাম হুসেন নেতৃত্বাধীন ইরাকি সেনার আধিকারিক ছিলেন কুরেশি। ২০০৩ সালে মার্কিন অভিযানে সাদ্দাম হুসেন ধরা পড়ার পর জঙ্গি সংগঠন আল কায়দাতে যোগ দিয়েছিলেন কুরেশি। ২০০৪ সালে মার্কিন বাহিনীর হাতে ধরা পড়ার পর তাঁকে ইরাকের কুখ্যাত কারাগারে বন্দি করা হয়। সেখানেই বাগদাদি ও আইসিস শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়েছিল।
বরাবরই তিনি বাগাদাদির বিশ্বাসী ছিলেন। ২০১০ সালে আল কায়দার ইরাকি শাখার দায়িত্ব ছিলেন তিনি। এরপরে প্রথমে ইসলামিক স্টেট অব ইরাক এবং পরবর্তীকালে ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড সিরিয়ার জন্য আল কায়দা থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি। জঙ্গি সংগঠনে অনেকেই তাকে ‘প্রফেসর’ নামে সম্বোধন করে। নৃশংসতায় তিনি ছিলেন পারদর্শী। আইসিসের হয়ে নৃশংস নীতি নির্ধারণের প্রধান দায়িত্বও তাঁর কাঁধেই ছিল। সংগঠনে কেউ বাগদাদির বিরোধিতা করলে তাঁকে খতম করে দেওয়ার পক্ষপাতীই ছিলেন কুরেশি। বৃহস্পতিবার তাঁর মৃত্যুতে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
** বাঙালিয়ানার চর্চায় বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়, তন্ময় বোস, অজয় চক্রবর্তী
** বাঙালিয়ানার চর্চায় অতিথি শমীক বন্দ্যোপাধ্যায়, সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়, তেজেন্দ্রনারায়ণ মজুমদার