২০২৩ সালের শেষে হিসাব করে দেখা গিয়েছিল গোটা বছরে সুইগির ইনস্টামার্ট মারফত এক দিনে অর্ডার করা হয়েছিল ১০হাজার কন্ডোম। যদিও এখনও ‘কন্ডোম’-কে নিষিদ্ধ শব্দ হিসাবেই গণ্য করা হয়। একটা সময় গর্ভ নিরোধক ওষুধের বিক্রি ছিল তুঙ্গে। রিপোর্ট বলছে সেই তুলনায় এখন কন্ডোমের ব্যবহার বেড়েছে। কিন্তু জানেন কি কন্ডোমের ব্যবহার নতুন কিছু নয় যুগ যুগ ধরে এটি ব্যবহার করে আসছেন পুরুষরা। রাজা-বাদশাদের আমলে তাঁদের একাধিক সঙ্গিনী ছিল।
ফলে যৌন-রোগ এড়াতেই বিশেষ জিনিস ব্যবহার করতেন তাঁরা। প্রথমে পশুর চামড়াকেই কন্ডোম হিসাবে ব্যবহার করা হত। ইতিহাস বলছে ১৬৪০ সালে ইংল্যান্ডের সেনারা ভেড়া ও ছাগলের অন্ত্রকে কন্ডোম হিসাবে ব্যবহার করত। তবে বেশ কিছু রিপোর্ট অনুযায়ী পৃথিবীর প্রাচীনতম কন্ডোম পাওয়া গিয়েছিল ১৩৫০ খ্রীস্টপূর্বাব্দো। সেই কন্ডোম পাওয়া গিয়েছিল প্রাচীন মিশরের রাজা তুতেন খামেনের মমির পাশ থেকেই।
সাড়ে তিন হাজার বছর আগে প্রাচীন মিশরের কিশোর রাজা বা ফারাও ছিলেন তুতেনখামেন। বাবার মৃত্যুর পর মাত্র ৯ বছর বয়সেই বসেছিলেন সিংহাসনে। দশ বছর রাজত্ব করার পর আচমকাই রহস্য মৃত্যু হয় তাঁর। কিশোর ফারাওকে বিপুল ঐশ্বর্য-সহ সমাধিস্থ করা হয়। তাঁর মমির সঙ্গেই পাওয়া গিয়েছিল একটি ছোট্ট চামড়ার থলির। সঙ্গে কোমরে বেঁধে নেওয়ার ফিতে। পরে বোঝা যায় সেটা আসলে আদি কন্ডোম। অবাক হওয়ার মতোই তথ্য! কয়েক হাজার বছর আগে মিশরীয়রা কন্ডোমের ব্যবহার জানতেন! কন্ডোমের মধ্যে পাওয়া ডিএনএ পরীক্ষায় জানা গিয়েছে তা তুতেনখামেনেরই ব্যবহৃত। তুতেনখামেনের মমিতে পাওয়া এই কন্ডোম ইতিহাসের প্রাচীনতম আবিষ্কৃত কন্ডোম। উল্লেখ্য়, ১৮৬০ সালের পর শুরু হয় আধুনিক কন্ডোমের ব্যবহার।