টোকিয়ো: দূর-দূরান্তেও কেউ কল্পনা করতে পারেননি যে এমন কিছু ঘটতে পারে। ভরা সভায় আততায়ীর গুলিতে খুন হলেন জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজ়ো আবে। জাপানের পশ্চিমের নারা শহরে একটি জনসভা চলাকালীন হঠাৎ এক আততায়ী প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে লক্ষ্য গুলি চালায়। সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষ রক্ষা হয়নি। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মারা যান শিনজ়ো আবে। যে চিকিৎসকেরা শেষ মুহূর্ত অবধি শিনজ়ো আবের চিকিৎসা করেছিলেন, তারা জানিয়েছেন গুলিটি হৃৎপিণ্ড ফুঁড়ে বেরিয়ে গিয়েছিল।
প্রাথমিক তথ্যে জানা গিয়েছিল, শিনজ়ো আবের উপরে দুটি গুলি চলেছিল। এরমধ্যে একটি গুলি গলায় বা বুকে লাগে। তবে হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, শিনজ়ো আবের শরীরে মোট তিনটি বুলেটের ক্ষত ছিল। এক চিকিৎসক জানান,বুলেট লেগে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর হৃৎপিন্ড ফুটো হয়ে গিয়েছিল। এছাড়া গলাতেও দুটি বুলেটের ক্ষত রয়েছে।
শিনজ়ো আবের দলের তরফেও বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, গলায় গুলি লাগার সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ৬৭ বছরের নেতা। তাঁর গলা থেকে রক্ত বের হচ্ছিল। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ার কারণেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। হাসপাতালে তিনি ভেন্টিলেশনে থাকাকালীনও ব্লাড ট্রান্সফিউশন করা হয়েছিল। কিন্তু নানা প্রচেষ্টার পরও শিনজ়ো আবেকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরই তিনি হৃৎরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন, এই কারণেই তাঁর শারীরিক অবস্থা আরও জটিল হয়ে যায়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরাও জানিয়েছেন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজ়ো আবে বক্তব্য রাখাকালীন পিছন থেকে এক আততায়ী হঠাৎ গুলি চালায়। প্রথম গুলিটি তাঁর পাশ ঘেঁষে বেরিয়ে গেলেও, দ্বিতীয় গুলিটি সোজা বুকে লাগে। সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে পড়ে যান তিনি। আশেপাশে দাঁড়ানো নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে ঘিরে ধরেন। বেশ কয়েকজনকে বুকে হাত চেপে ধরতেও দেখা যায়। দ্রুত এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে শিনজ়ো আবেকে একটি বড় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কয়েক ঘণ্টা তিনি ভেন্টিলেশনে ছিলেন। জাপানের সময় অনুযায়ী, বিকেল ৪টে নাগাদ শিনজ়ো আবের মৃত্যু হয়।