ওয়াশিংটন: মার্কিন মসনদে আবারও একবার ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। কমলা হ্যারিসকে হারিয়ে ফের হোয়াইট হাউসে প্রত্যাবর্তন করতে চলেছেন রিপাবলিকান নেতা। আর ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট পদে ফেরা নিশ্চিত হতেই ঘুম উড়েছে বাংলাদেশের (Bangladesh)। মার্কিন রাজনীতি যে বদলে দিতে পারে বাংলাদেশের বর্তমান হালচালও। প্রেসিডেন্ট নির্বাচন চলাকালীনই ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশে হিন্দুদের উপরে হওয়া অত্যাচার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। এবার ক্ষমতায় বসে কি সেই বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ করবেন? এই দিকে তাকিয়ে বাংলাদেশ তথা গোটা বিশ্ব।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচিত হতেই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ট্রাম্পের নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। অন্যদিকে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। বাংলাদেশের জনগণের তরফে তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হোয়াইট হাউসে ফেরার অভিনন্দন জানিয়েছেন। একইসঙ্গে বলেছেন, শান্তি ও সম্প্রীতির মাধ্যমে বৈশ্বিক প্রতিবন্ধকতার সঙ্গে দুই দেশের একযোগে লড়াই করা নিয়ে তিনি আশাবাদী।
তবে ইউনূসের এই বার্তার পিছনে অন্য অর্থ লুকিয়ে রয়েছে বলেই মত কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের। সম্প্রতিই ভারতকে দীপাবলির শুভেচ্ছা জানাতে গিয়েই বাংলাদেশে হিন্দুদের উপরে চলা অত্যাচারের প্রসঙ্গ টেনে এনেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বাংলাদেশে চরম বিশৃঙ্খলা চলছে বলেই উল্লেখ করেছিলেন তিনি। একইসঙ্গে বলেছিলেন, “আমি থাকলে এই ঘটনা কখনও ঘটতে দিতাম না”। সেই বিষয়কে ধামাচাপা দিতেই শান্তি ও সম্প্রীতির বার্তা ইউনূসের।
“আমি থাকলে…” –ট্রাম্পের এই বার্তা নিয়েই শঙ্কায় বাংলাদেশ। মহম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ডেমোক্রাটদের সম্পর্ক ভাল। বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পতন ও অন্তর্বর্তী সরকার গঠনে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছ থেকে পূর্ণ সমর্থন পেয়েছিলেন ইউনূস। কিন্তু কয়েক মাসেই বদলে গিয়েছে অনেক কিছু। একদিকে যেমন ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে ভূরি ভূরি অভিযোগ জমছে, তেমনই বাংলাদেশে হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্য়ালঘুদের উপরে হওয়া হামলার ঘটনাও গোটা বিশ্বের নজর কেড়েছে।
ভারতের সঙ্গে এমনিই সম্পর্ক ভাল আমেরিকার। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত যেভাবে বিশ্বশক্তি হয়ে উঠছে, তাতে এমন বন্ধুকে পাশে রাখতে চায় আমেরিকাও। সেখানেই টালমাটাল পরিস্থিতি বাংলাদেশে। ভারতকে পাশে পেতে এবং আন্তর্জাতিক মঞ্চে আমেরিকার ভাল ভাবমূর্তি গড়তে ট্রাম্প যে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করবেন না, এ কথা কেউ বুক ঠুকে বলতে পারবেন না।