ওয়াশিংটন: মার্কিন ইতিহাসে ডোনাল্ড ট্রাম্পই (Donald Trump) প্রথম প্রেসিডেন্ট যাঁকে দুবার ইমপিচমেন্টের মুখে পড়তে হয়েছে। শেষবেলায় তাঁর সঙ্গ ছেড়েছেন দীর্ঘপথের সঙ্গীরাই। রিপাবলিকানদের অভ্যন্তরেই কোণঠাসা তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন পার্টির নেতারাই। হাউসে ১০ জন রিপাবলিকান ভোট দিয়েছেন ট্রাম্পের ইমপিচমেন্টের পক্ষে। সেনেট লিডার ম্যাককনেলও ক্যাপিটলে হামলার জন্য দায়ী করেছেন ট্রাম্পের উসকানিমূলক বক্তব্যকে। সব মিলিয়ে বিদায়কালে যেন নিঃসঙ্গ ট্রাম্প। কিন্তু মোটেই বিচলিত নন তিনি, বরং আগের থেকে বেশি পরাক্রমী। মার্কিন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, নিজের রাজনৈতিক দল আনতে চলেছেন ট্রাম্প।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের নতুন রাজনৈতিক দলের নাম হতে পারে ‘প্যাট্রিয়োটিক পার্টি’ অর্থাৎ দেশপ্রেমীক দল। আর সেই পার্টির ট্যাগলাইন হবে ‘আমেরিকা ফার্স্ট।’ ট্রাম্প নাকি তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলে একথা জানিয়েছেন। মার্কিন নির্বাচনে মূলত দুই দলের প্রাধান্য। রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটদের মধ্যেই বারবার ক্ষমতা বদল হয়। লিবার্টিয়ান পার্টি, গ্রিন পার্টি, কনস্টিটিউশন পার্টি ও আমেরিকান সলিডারিটি পার্টি থাকলেও সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পায় ‘হাতি’ ও ‘গাধা’ই।
শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে ট্রাম্পের যে জনপ্রিয়তা, তাকে কাজে লাগিয়েই মার্কিন নির্বাচনে নতুন আঙ্গিকে প্রবেশ করতে চাইছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আমেরিকার যে একটা বড় অংশ ট্রাম্পপন্থী তার প্রমাণ মিলেছিল ক্যাপিটল হামলার দিনই। হাজারো ট্রাম্প সমর্থক চড়াও হয়েছিলেন মার্কিন ক্যাপিটলে। এমনকি প্রেসিডেন্ট হিসাবে বাইডেনকেও মানতে নারাজ তারা। যেখান থেকে স্পষ্ট অনুমান করা যায় ট্রাম্পের চরম জনপ্রিয়তা।
আরও পড়ুন: ‘বাধ্য হয়েই’ বাইডেনকে অভিবাদন জানালেন ট্রাম্প
কিন্তু সেনেটে যদি ট্রাম্পের ইমপিচমেন্ট বিল পাশ হয়ে যায়, তাহলে কোনও দিনই নির্বাচনে লড়তে পারবেন না ট্রাম্প। আর ট্রাম্প যদি নতুন কোনও রাজনৈতিক দল নিয়ে আসেন, তাহলে সেনেটে রিপাবলিকানরা ট্রাম্পের বিরুদ্ধে গিয়েও ইমপিচমেন্টের পক্ষে ভোট দিতে পারেন। যার ফলে চরম অনিশ্চিয়তার সামনে দাঁড়াবে ট্রাম্পের রাজনৈতিক জীবন।