
অরিজিৎ দত্ত এবং শুভ্রনীল ভদ্র এডিনবরা: দুর্গাপুজো শুরুর মাস তিনেক আগে থেকেই এবার সবার মন খারাপ। দেশ হোক বা বিদেশ, বছরের এই একটা সময় সর্বত্র উৎসবে মেতে ওঠে বাঙালি। পাড়ায় পাড়ায় জমে আড্ডা। জড় হয় বন্ধুরা। সঙ্গে থাকে খাবার। প্রবাসী বাঙালির মন এই সময় আকুল হয়ে ওঠে।
সুদূর এডিনবরা শহরে বলে কার-ই বা মনে থাকে কবে মহালয়া? প্রবাসীরা গুলিয়ে ফেলেন দিনগুলো। তবে বাঙালি যেখানেই থাকুক, ঠিক মন পড়ে থাকে ওই কয়েকটা দিনের দিকে। প্রতিবারের মতো এবারও প্রবাস আর পুজো একাত্ম হয়ে গিয়েছে। কলকাতার রাজপথে যে প্রতিবাদের আঁচ পাওয়া যাচ্ছে, বিশ্বের আর এক প্রান্তে থেকে সেটাও ভুলছে না বাঙালি।
১০ বছর আগে আবেগকে সঙ্গী করেই এডিনবরায় দুর্গা পূজার সূচনা হয়। প্রথমে দুর্গা প্রতিমা নিয়ে আসা, ঢাকের তালে নাচ, সুস্বাদু খাবার আর সবার চোখে-মুখে আনন্দ। প্রতি বছর যেব এক ম্যাজিকের সাক্ষী থাকে এই পুজো।
তবে ২০২৪-এ একাদশতম বর্ষের সেই পুজো হবে একটু অন্যভাবে। কলকাতার আরজি কর কাণ্ডের কথা এবার ভুলছে না তারা। দুর্গা যেভাবে অসুরের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জয়ী, তাকেই এই সংগ্রামের প্রতীক বলে মনে করছেন পুজো উদ্যোক্তারা। তাঁরা বলছেন, “এ বছর আমরা উৎসব উদযাপন করছি না, বরং আশার আলো ছড়িয়ে দিতে চাই এই সঙ্কটের মধ্যেও।”
তাই শুধুমাত্র সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নয়, এবার পুজোয় চ্যারিটি ব্যাজেও লেখা থাকছে, “তিলোত্তমার জন্য”।