Order of Nile: মিশরের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মান, ‘অর্ডার অব দ্য নাইল’-এ ভূষিত প্রধানমন্ত্রী মোদী

TV9 Bangla Digital | Edited By: অমর্ত্য লাহিড়ী

Jun 25, 2023 | 4:09 PM

PM Modi conferred with Order of the Nile: মিশরের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মান, 'অর্ডার অফ দ্য নাইল'-এ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ভূষিত করলেন মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ এল-সিসি।

Order of Nile: মিশরের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মান, অর্ডার অব দ্য নাইল-এ ভূষিত প্রধানমন্ত্রী মোদী
মিশরের সর্বোচ্চ সম্মান 'অর্ডার অব দ্য নাইল' দিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে সম্মান জানালেন প্রেসিডেন্ট এল-সিসি

Follow Us

কায়রো: মিশরের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মান, ‘অর্ডার অব দ্য নাইল’-এ ভূষিত করা হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। মিশর সফরের দ্বিতীয় তথা শেষ দিনে, রবিবার (২৫ জুন) মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ এল-সিসির সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন তিনি। মিশরের প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেসে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান মিশরীয় প্রেসিডেন্ট। দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে বৈঠকের পর, প্রধানমন্ত্রী মোদীকে মিশরের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মানে ভূষিত করেন প্রেসিডেন্ট এল সিসি। এর আগে ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রধান অতিথি হিসাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল মিশরীয় প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ এল-সিসিকে। কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এক বছরের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী মোদীর সেই দেশের সফর, দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়নের ইঙ্গিত দিচ্ছে। বোঝা যাচ্ছে, দুই দেশই কূটনৈতিক সম্পর্ককে আরও জোরদার করতে আগ্রহী।

রাজতন্ত্রের আওতাধীন মিশরে ১৯১৫ সালে, ‘কিলাদাত এল নাইল’ বা ‘দ্য অর্ডার অব দ্য নাইল’ পুরস্কার দেওয়া শুরু হয়েছিল। তখন সেটি ছিল সামপরিক সম্মান। ১৯৫৩ সালে সেই দেশে রাজতন্ত্রের অবলুপ্তি ঘটে। এরপর, ‘কিলাদাত এল নাইল’ বা ‘দ্য অর্ডার অব দ্য নাইল’ পুরস্কার-কে মিশরের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মান হিসাবে পুনর্প্রতিষ্ঠা করা হয়। এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার, ব্রিটিশ রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ, প্রথম মহাকাশে পা রাখা নভোশ্চর ইউরি গ্যাগারিন, বাংলাদেশি প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, সৌদি বাদশা, সৌদ বিন আব্দুলাজিজ আর সৌদ প্রমুখ বিশিষ্ট ব্যক্তিদরে এই সম্মান জানানো হয়েছে।


এদিন মিশরের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে এক মধ্যাহ্নভোজের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মিশরের প্রেসিডেন্টের প্রাসাদে আসেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। বৈঠক চলাকালীন, দুই দেশের কৌশলগত অংশীদারিত্ব বৃদ্ধির বিষয়ে একটি মউ স্বাক্ষর করেছেন দুই রাষ্ট্রনেতা। মিশরের প্রেসিডেন্টের প্রাসাদে আসার আগে, এদিন কায়রোর বিখ্যাত আল-হাকিম মসজিদ এবং হেলিওপোলিস ওয়ার মেমোরিয়ালে পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। আল-হাকিম মসজিদে অন্তত আধঘণ্টা সময় কাটান প্রধানমন্ত্রী। তারপর গিয়েছিলেন, হেলিওপলিস ওয়ার মেমোরিয়ালে। সেখানে, প্রথম বিশ্বযুদ্ধে শহিদ ভারতীয় সেনা সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন তিনি।


মিশরের প্রধান মুফতি ড. শাওকি ইব্রাহিম আবদেল-করিম আল্লামের সঙ্গেও দেখা করেন নরেন্দ্র মোদী। পরে টুইট করে মোদি জানান, “মিশরের গ্র্যান্ড মুফতি ড. শাকি ইব্রাহিম আল্লামের সঙ্গে সাক্ষাতে সুযোগ পেয়ে আমি সম্মানিত বোধ করছি। আমরা ভারত ও মিশরের মধ্যে সম্পর্ক, বিশেষ করে সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে এবং দুই দেশের জনগণের মধ্যে যে মানবিক যোগাযোগ রয়েছে, সেই সম্পর্কে বিস্তৃত আলোচনা করেছি।” পাশাপাশি, মিশরের আরও বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং সেখানে বসবাসকারী ভারতীয় সম্প্রদায়ের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন তিনি।

শনিবার, কায়রো বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে স্বাগত জানান, সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী মোস্তফা মাদবৌলি। দুই নেতার মধ্যে বৈঠকও হয়। বৈঠকে, সবুজ শক্তি, তথ্য প্রযুক্তি, ওষুধ শিল্পের মতো ক্ষেত্রে দুই দেশের পারস্পরিক সহযোগিতার কথা উঠে এসেছে। এদিন এই সব বিষয়েই রাষ্ট্রপতি এল-সিসির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারেন নরেন্দ্র মোদী। এদিন মধ্যরাতেই ভারতের উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রীর।

Next Article
Wagner Force: যেন কোনও রকস্টার! রোস্তভ ছাড়ল ওয়াগনার, ‘হিরো’ ইয়েভগেনির সঙ্গে ছবি তুলতে লম্বা লাইন
Peshawar: পাকিস্তানে আইএস জঙ্গিদের নিশানায় শিখ সম্প্রদায়, প্রকাশ্যে খুন যুবক