Elon Musk: ইতিহাস মুছতে চায় মাস্ক? আমেরিকার দুই সরকারি প্রতিষ্ঠানে তালা ঝোলানোর দাবি টেসলা-কর্তার

Elon Musk: আমেরিকার ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সঙ্গে জুড়ে রয়েছে এই দুই প্রতিষ্ঠান। আর সেখানেই তালা ঝোলানোর কথা জানিয়ে দিলেন মাস্ক। তাঁর দাবি, শুধু জনসাধারণের টাকায় এই প্রতিষ্ঠানগুলি চালানো অযৌক্তিক। তাই এমন সিদ্ধান্ত।

Elon Musk: ইতিহাস মুছতে চায় মাস্ক? আমেরিকার দুই সরকারি প্রতিষ্ঠানে তালা ঝোলানোর দাবি টেসলা-কর্তার
Image Credit source: PTI

|

Feb 11, 2025 | 4:15 PM

ওয়াশিংটন: তিনি একজন ব্যবসায়ী, গবেষক এবং দিন শেষে শিল্পপতি। তবে সদ্য় নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর তাঁর নামের শেষে জুড়েছে আরও একটি উপাধি। ট্রাম্পের প্রশাসনের ‘ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি’ দফতরের গুরুদায়িত্বেও এখন তিনিই। বন্ধুত্বে সিলমোহর দিয়েই শিল্পপতি ইলন মাস্ককে এই পদ দিয়েছেন ট্রাম্প, মত একাংশের।

ক্ষমতায় আসার পরেই বড় পদক্ষেপের দাবি মাস্কের। সরকারের দু’টি অন্যতম প্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার দাবি তুললেন টেক জায়ান্ট সংস্থা টেসলার মালিক। এদিন তিনি বলেন, সরকারি অনুদানে চলা দেশের অন্যতম দু’টি গণমাধ্যম বন্ধ করে দেওয়া উচিত। সেই প্রতিষ্ঠানগুলি হল রেডিয়ো ফ্রি ইউরোপ ও ভয়েস অব আমেরিকা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি অনুদানে চলা এই দুই গণমাধ্যমের অফিসে তালা ঝোলানোর কথা বললেন ‘ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি’ দফতরের প্রধান ইলন মাস্ক।

আমেরিকার ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সঙ্গে জুড়ে রয়েছে এই দুই প্রতিষ্ঠান। আর সেখানেই তালা ঝোলানোর কথা জানিয়ে দিলেন মাস্ক। তাঁর দাবি, শুধু জনসাধারণের টাকায় এই প্রতিষ্ঠানগুলি চালানো অযৌক্তিক। তাই এমন সিদ্ধান্ত।

১৯৫৩ সালে সোভিয়েতের সঙ্গে ঠান্ডা লড়াইয়ের সময় আমেরিকার হয়ে প্রচার ও বিশ্ব দরবারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে এগিয়ে রাখতেই রেডিয়ো ফ্রি ইউরোপ বা রেডিয়ো লিবারটি নামে গণমাধ্যমটি প্রতিষ্ঠা করে তৎকালীন মার্কিন প্রশাসক। এর ১৩ বছর আগেই প্রতিষ্ঠা হয়েছিল বন্ধ হতে চলা ভয়েস অব আমেরিকাও। মূলত, সেই সময়কালে বিশ্বজুড়ে নাৎসি প্ররোচনা রুখতেই এই গণমাধ্যমটির প্রতিষ্ঠা করা হয়। বর্তমানে বিশ্বের একাধিক দেশেই আমেরিকার ‘প্রতিনিধি’ হিসাবে ভয়েস অব আমেরিকার শাখা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। কিন্তু ইলনের ঘোষণার পর আপাতত সেই গুলির ভবিষ্যৎও সংকটের মুখে।

মূলত, ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত রিচার্ড গ্রেনেলের এক্স হ্যান্ডেলে করা একটি পোস্টের প্রত্যুত্তরেই এই কথা বলেন মাস্ক। সেখানে সেই মার্কিন দূত লিখছেন, ‘মার্কিন নাগরিকদের টাকায় রেডিয়ো ফ্রি ইউরোপ ও ভয়েস অব আমেরিকা চালানো হয়। যা অতি-বামমনস্ক কর্মীতে ভরে গিয়েছে। তাই এই সরকারি অনুদানে চলা মিডিয়াগুলির আর প্রয়োজন নেই।’

রিচার্ডের সেই পোস্টের প্রত্যুত্তরেই মাস্ক লেখেন, ‘এগুলো এখন আর কেউ শোনে না। আজই এই প্রতিষ্ঠানগুলিকে বন্ধ করে দেওয়া উচিত।’