লন্ডন: ২০২৩ সাল সবথেকে গরমের বছর। এ রকমই জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ক্লাইমেট মনিটরস। গত বছর ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা থ্রেশোল্ড মাত্রাকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে বলে জানানো হয়েছে। তাপমাত্রার পরিবর্তনের জেরে পৃথিবীর বুকে তাপপ্রবাহ, খরা, দাবানলের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। এই সব ঘটনাও ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ। এ বিষয়ে কোপারনিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিস (C3S)-এর ডেপুটি হেড সামন্থ বার্গ্রেস বলেছেন, “২০২৩ ছিল প্রথম বছর যার সমস্ত দিন প্রিইন্ডাস্ট্রিয়াল পর্বের আগে ১ ডিগ্রি বেশি উষ্ণ ছিল। গত এক লক্ষ বছরের যে কোনও সময়কালের তুলনায় ২০২৩ সালের তাপমাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছে।”
২০২৩ সালের মতো ২০২৪ সালেও তাপমাত্রা বৃদ্ধির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। তবে ২০২৩ সালের মতো তা হয়ে উঠবে না কি তা এখনও বলা সম্ভব নয়। এ বছর ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা বৃদ্ধির রেকর্ড বিশ্বের সমস্ত মহাদেশেই ভেঙেছে বলে জানা গিয়েছে। ২০২৩ সালের পর উষ্ণতা বেশি ছিল ২০২০ সালে। ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা বৃদ্ধির পাশাপাশি ২০২৩ সালে এল নিনোও অনেক বেড়েছে।
২০২৩ সালে একাধিক প্রাকৃতিক ঘটনার সাক্ষী ছিল বিশ্ববাসী। কানাডায় এ বছর দাবানল ভয়াবহ আকার ধারণ করেছিল। আফ্রিকা এবং মধ্য প্রাচ্য পড়েছিল খরার কবলে। ইউরোপেও তাপপ্রবাহ মাত্রাছাড়া হয়েছে। আমেরিকা এবং চিনের শীতকাল অন্যান্য বছরের তুলনায় উষ্ণতা ছিল। সব মিলে বিশ্বের বিভিন্ন মহাদেশের ঘটনা ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রাকেই এক লাফে অনেকটা বাড়িয়েছে।