Bangla News World Eugene shoemaker first Ever human and scientist buried on moon
মৃত্যুর পর গিয়েছিলেন চাঁদে, আজও মিলবে শোমেকারের সমাধি
TV9 Bangla Digital | Edited By: Shubhendu Debnath
Oct 05, 2021 | 8:14 PM
ইউজিন শোমেকার আবিষ্কার করেন ২৯টি ধুমকেতুও। তাঁর স্ত্রী ক্যারোলিন শোমেকারও এই বিষয়ে প্রবল আগ্রহী হয়ে ওঠেন। এবং ইউজিনের উৎসাহেই ক্যারোলিন ব্যক্তিগত আগ্রহে ৩২টি ধুমকেতু আবিষ্কার করেছিলেন।
1 / 6
পৃথিবীর সঙ্গে যদি মহাজাগতিক কোনও জ্যোতিষ্কের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের প্রসঙ্গ ওঠে তাহলে সবার উপরে আসবে চাঁদের নাম। বিজ্ঞানীদের একাংশের দাবি মানুষের চন্দ্রবাস স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। যদিও গবেষকরা এটাও মেনে নেন, পৃথিবীর এই উপগ্রহের অনেক কিছুই যে এখনও অজানা। চাঁদের মাটিতে বেশ কয়েকবার মানুষের পা পড়লেও সেখানে গিয়ে কেউ পাকাপাকি থেকে গিয়েছেন এমন নজির নেই।না, সামান্য ভুল হল! এই পৃথিবীর এক বিশেষ ব্যক্তির সারা জীবনের জন্য ঠাঁই পেয়েছেন চাঁদের মাটিতে! তবে জীবিত অবস্থায় নয়।
2 / 6
ইউজিন শোমেকার! বিজ্ঞান চর্চাকারীরা এই নামটির সঙ্গে বিশেষ পরিচিত। নাসার এর প্রাক্তন জ্যোতির্বিজ্ঞানীই সর্বপ্রথম চাঁদের মাটির গুনাগুন পরীক্ষা করে এই উপগ্রহের আবহাওয়া এবং মাটির বিস্তারিত তথ্য সবার সামনে নিয়ে আসেন। তাঁর গবেষণাতের প্রকাশ পায়, কোনও গ্রহাণু বা ধূমকেতুর সঙ্গে ভিনগ্রহ বা মহাকাশ থেকে জীবাণু বা অণুজীব পৃথিবীতে এসে পৌঁছতে পারে।একই ঘটনা ঘটতে পারে অন্যান্য গ্রহের সঙ্গেও। প্ল্যানেটারি সায়েন্স বা মহাকাশ বিজ্ঞান ইউজিন শোমেকারের হাত ধরে এক ধাক্কায় অনেকটা পথ এগিয়ে যায়।
3 / 6
ইউজিন শোমেকার আবিষ্কার করেন ২৯টি ধুমকেতুও। তাঁর স্ত্রী ক্যারোলিন শোমেকারও এই বিষয়ে প্রবল আগ্রহী হয়ে ওঠেন। এবং ইউজিনের উৎসাহেই ক্যারোলিন ব্যক্তিগত আগ্রহে ৩২টি ধুমকেতু আবিষ্কার করেছিলেন।
4 / 6
এই জ্যোতির্বিজ্ঞানি দম্পতির পূর্বাভাস অনুযায়ী ১৯৯৪ সালের ১৬ জুলাই বৃহস্পতির বুকে একটি বিশালাকৃতির গ্রহাণু আছড়ে পড়ে। তাঁদের এই পূর্বাভাসের উপর ভিত্তি করেই জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বৃহস্পতির আবহাওয়া সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য জানতে পারেন। তার আগে পর্যন্ত বৃহস্পতির ব্যাপারে সম্পূর্ণ অন্ধকারেই ছিলেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু ১৯৯৭ সালের ১৮ জুলাই ইউজিন শোমেকার একটি গাড়ি দুর্ঘনায় মারা যান অস্ট্রেলিয়ায়।
5 / 6
ইউজিনের ইচ্ছে ছিল, তিনি অন্তত একবার হলেও চাঁদের মাটিতে পা রাখবেন। তার প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছিলেন তিনি। প্রায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল, নাসার পরের চন্দ্রাভিযানে চাঁদে যাবেন এই চাঁদপ্রেমী জ্যোতির্বিজ্ঞানী। কিন্তু হঠাৎ করেই 'এডিসন' রোগে আক্রান্ত হয়ে যান তিনি। ভেঙে যায় তাঁর চাঁদে যাওয়ার স্বপ্নও।
6 / 6
জ্যোতির্বিজ্ঞানে ইউজিনের বিপুল অবদাকে স্বীকৃতি দিতে নাসা এই মার্কিন জ্যোতির্বিজ্ঞানীর দেহভস্মের একাংশ চাঁদের বুকে ছড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর ১৯৯৯ সালের ৩১ জুলাই ইউজিন শোমেকারের দেহাভস্ম নাসার লুনার প্রসপেক্টাস থেকে একটি ক্যাপসুলে আবদ্ধ করে চাঁদের মাটিতে ফেলে দেওয়া হয়। আর সারা জীবনের জন্য চাঁদেই ঠাঁই হয় এই জ্যোতির্বিজ্ঞানীর। যা মানব ইতিহাসেও প্রথম এবং এখনও পর্যন্ত একমাত্র ঘটনা।