গাজা সিটি: প্রথম হামলা চালিয়েছিল হামাস। তাদের জন্যই শুরু হয়েছে যুদ্ধ। এবার হামাস বাহিনীকে মোক্ষম জবাব দিতে প্রস্তুত ইজরায়েল। গাজা স্ট্রিপে স্থল-জল ও আকাশপথে একযোগে হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে ইজরায়েলি সেনা। তবে তার আগে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল গাজাবাসীদের জন্য। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গাজা ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়। সেই নির্দেশ মতোই শেষ সম্বলটুকু নিয়েই প্রাণ বাঁচিয়ে পালাচ্ছেন সকলে। কিন্তু পালাবেনই বা কোথায়? হামাস যে পালানোর পথ বন্ধ করে রেখেছে।
শনিবারই ইজরায়েলি এয়ার ফোর্সের তরফে দাবি করা হয়, গাজা স্ট্রিপের বাসিন্দাদের সুরক্ষিতভাবে শহর ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য় যে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলি ফাঁকা রাখা হয়েছিল, সেগুলিকে আটকে রেখেছে হামাস বাহিনী। ফলে গাজার বাসিন্দারা শহর ছেড়ে পালাতে পারছেন না।
Attached is a photo of a Hamas roadblock pic.twitter.com/zUjA79V4S9
— Israeli Air Force (@IAFsite) October 14, 2023
ইজরায়েল বায়ুসেনার তরফে প্রমাণ স্বরূপ ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে। দূর থেকে তোলা ওই ছবিতে দেখা গিয়েছে, গাড়ির লম্বা লাইন পড়েছে। কিন্তু বেরনোর মূল জায়গাই কিছু একটা বস্তু দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে। ওগুলি ট্রেলার ট্রাক বা ট্য়াঙ্কার হতে পারে।
Following the IDF’s warning, residents of the Gaza Strip began to evacuate from their homes to south of the Wadi Gaza for their own protection. Hamas obstructed and prevented the safe passage of residents in the Gaza Strip moving along central roads. pic.twitter.com/ucLyKq8xdm
— Israeli Air Force (@IAFsite) October 14, 2023
বৃহস্পতিবারই ইজরায়েলের তরফে গাজাবাসীদের শহর ছাড়তে বলা হয়েছিল। ২৪ ঘণ্টার সময় দেওয়া হয়েছিল শহর ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য। ইজরায়েলের ওই সতর্কবার্তার পরই হাজার হাজার মানুষ লোটা-কম্বল গুটিয়ে পথে বেরিয়ে আসেন। সীমান্ত টপকে প্যালেস্তাইনে পালিয়ে যান অনেকে। আবার অনেকে গাজারই বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নেন। প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ গাজা সিটির মেইন হাসপাতালে আশ্রয় নিতে ভিড় জমিয়েছেন। তবে গাজার ১১ লক্ষ নাগরিককে সুরক্ষিতভাবে স্থানান্তর করা যে অসম্ভব, তা মেনে নিয়েছে সকলেই।