গাজা সিটি: আর কোনও ছাড় নয়। এবার পুরোদমে যুদ্ধে নামছে ইজরায়েল। রবিবার ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্সের তরফে ঘোষণা করা হল যে গাজায় সমন্বিত আক্রমণ শুরু করা হবে। স্থল, জল ও আকাশপথে একসঙ্গে হামলা চালানো হবে। ইতিমধ্যেই বিপুল সংখ্যক সেনা হাজির হয়েছে গাজা সীমান্তে। নির্দেশ মিললেই তারা গাজায় ঢুকে হামলা চালাবে।
আইডিএফের শীর্ষ কর্তা জোনাথন কনরিকাস জানান, ইজরায়েলি বাহিনী সম্পূর্ণ প্রস্তুত। কমব্যাট অপারেশন আরও তীব্র হবে। যৌথ সামরিক অভিযান চালানো হবে। যুদ্ধের পরবর্তী ধাপের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এবার গ্রাউন্ড অপারেশনে বিশেষ জোর দেওয়া হবে। পণবন্দিদের ছেড়ে দেওয়ার জন্যও চাপ সৃষ্টি করা হবে হামাসের উপরে।
ইজরায়েলি সেনার তরফে জানানো হয়েছে, গাজায় সামরিক ও রাজনৈতিক নেতৃত্বদের সম্পূর্ণ নির্মূল করা হবে, যাতে গাজায় কোনওভাবেই আর শক্তি প্রদর্শন করার সুযোগ পাবে না।
প্রসঙ্গত, হামাসের প্রধান ঘাঁটি গাজা সিটি। গাজা স্ট্রিপ থেকেই ইজরায়েলের উপরে প্রথম রকেট হামলা চালিয়েছিল হামাস। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে গোপন সুড়ঙ্গ কেটে তারা ঘাঁটি বানিয়ে রেখেছে। সেখানে বন্দি বানিয়ে রাখা হয়েছে ইজরায়েলি ও বিদেশি নাগরিকদের। ইজরায়েল যখনই আক্রমণ করছে, তখনই মানবঢাল হিসাবে এই বন্দিদের ব্যবহার করছে হামাস।
সম্প্রতিই একটি সাক্ষাৎকারে জোনাথন কনরিকাস বলেন, “আমাদের লক্ষ্য় হামাস ও তাদের সেনাকে ধ্বংস করে দেওয়া। এমন অবস্থা করা হবে যে হামাস যেন আর কখনও ইজরায়েলি নাগরিকদের হুমকি, অপহরণ বা খুন করার সাহস দেখাতে না পারে।”